Madhyamik Physical Science Suggestion- পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন

Bangla Tutor

 


বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : (মান – 1) পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন

  1. মিথেন হাইড্রেট থেকে পাওয়া যায়
  2. হাইড্রোজেন গ্যাস b. মিথেন গ্যাস c. বায়োগ্যাস d. অ্যাসিটিলিন গ্যাস                             

উত্তরঃ[b] মিথেন গ্যাস

  1. বায়ুর প্রধান গ্যাসীয় উপাদান হল
  2. নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন b. অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন c. নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন d. অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড                          

উত্তরঃ[c] নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন

  1. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে মেরুজ্যোতি দেখা যায়
  2. ট্রপোস্ফিয়ার b. স্ট্রাটোস্ফিয়ার c. মেসোস্ফিয়ার d. থার্মোস্ফিয়ার                                    

উত্তরঃ[d] থার্মোস্ফিয়ার

  1. প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসটি হল
  2. মিথেন b. কার্বন ডাইঅক্সাইড c. নাইট্রাস অক্সাইড d. ক্লোরোফ্লুরো কার্বন                                                             

উত্তরঃ[b] কার্বন ডাইঅক্সাইড

  1. একটি অপ্রচলিত শক্তির উৎস হল
  2. কেরোসিন b. বায়োগ্যাস c. ডিজেল d. পেট্রোল                                                                

উত্তরঃ[b] বায়োগ্যাস

  1. কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয়
  2. কয়লা b. ডিজেল c. সৌরশক্তি d. পেট্রোল                                                                      

উত্তরঃ[c] সৌরশক্তি

  1. প্রতি কিলোমিটার ওপরে উঠলে বায়ুর উষ্ণতা কমে প্রায়
  2. 5°C করে b. 5.5°C করে c. 6°C করে d. 6.5°C করে   

উত্তরঃ[d] 6.5°C করে

  1. সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে জীবজগৎকে রক্ষা করে
  2. ট্রপোস্ফিয়ার b. থার্মোস্ফিয়ার c. ওজোনস্ফিয়ার d. ম্যাগনেটোস্ফিয়ার                             

উত্তরঃ[c] ওজোনস্ফিয়ার

শূন্যস্থান পূরণ করো: (মান – 1) পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন 

  1. ওজোন গ্যাসের সংকেত ________।                                                                           

উত্তরঃ[O2]

  1. বায়ুর জলীয় বাষ্পের উৎস বিভিন্ন________।                                                            

উত্তরঃ[জলাশয়]

  1. বায়ুমণ্ডলের________স্তর থেকে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়।                                      

উত্তরঃ[আয়নোস্ফিয়ার]

  1. রাতের বেলায়________বায়ু প্রবাহিত হয় ।                                                                

উত্তরঃ[স্থল]

  1. অক্সিজেনের অণু অতিবেগুনি রশ্মির________কণার দ্বারা বিয়োজিত হয়।                      

উত্তরঃ[ফোটোন]

  1. রেফ্রিজারেটারে________জৈব দ্রাবক রূপে ব্যবহৃত হয়।                                            

উত্তরঃ[ক্লোরোফ্লুরোকার্বন]

  1. অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে মানুষের________ক্যানসার হয়।                                         

উত্তরঃ[ত্বক] 

  1. বায়ুশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বায়ুকলে________উৎপাদন করা হয়।                                   

উত্তরঃ[বিদ্যুৎ]

  1. বায়োগ্যাস রান্নার কাজে গ্যাসীয়________রূপে ব্যবহৃত হয়।                                         

উত্তরঃ[জ্বালানি]

  1. সূর্য থেকে তাপ________পদ্ধতিতে পৃথিবীতে আসে।                                                   

উত্তরঃ[বিকিরণ]

  1. জোয়ারভাটার সময় জলস্রোতকে কাজে লাগিয়ে ________উৎপন্ন করা হয়।                   

উত্তরঃ[বিদ্যুৎ]

সত্য বা মিথ্যা নির্বাচন করো: (মান – 1) পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন 

  1. বায়ুর একটি গ্যাসীয় উপাদান হল ধূলি কণা। [F]
  2. খনিতে মিথেন হাইড্রেট বরফের খাঁজের মতো চাঁই আকারে অবস্থান করে। [T]
  3. বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ারে ঝড়বৃষ্টি হয়। [F]
  4. ভূপৃষ্ঠ থেকে যত ওপরে ওঠা যায় বায়ুর উষ্ণতা তত বাড়তে থাকে। [F]
  5. কলকাতা অপেক্ষা দার্জিলিং-এ বায়ুর চাপ কম হয়। [T]
  6. অক্সিজেন অণু অতিবেগুনি রশ্মির ফোটোন কণার দ্বারা বিয়োজিত হয়ে  অক্সিজেন পরমাণুতে পরিণত হয়। [T] 
  7. গ্রিনহাউস এফেক্টের জন্য দায়ী দুটি গ্যাস হল নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন। [F]
  8. বায়োগ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। [T]
  9. সৌরকোশে বায়ুশক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। [F]
  10. ওজনস্ফিয়ারের মূল উপাদান ওজোন গ্যাস। [T] 

    অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান – 1) পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন 

  11. কলকাতা ও দার্জিলিংয়ের মধ্যে কোন জায়গায় উষ্ণতা অপেক্ষাকৃত কম?
  12. উত্তরঃ কলকাতা অপেক্ষা দাৰ্জিলিংয়ের উষ্ণতা কম।

    1. বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদান কী কী?

    উত্তরঃ অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন।

    1. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরকে শান্তমণ্ডল বলে?

    উত্তরঃ স্ট্রাটোস্ফিয়ারকে।

    1. ওজনস্ফিয়ারের প্রধান কাজ কী?

    উত্তরঃ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করা।

    1. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর থেকে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়?

    উত্তরঃ আয়নোস্ফিয়ার স্তর থেকে।

    1. গোবর গ্যাস বা বায়োগ্যাসের উপাদান কী?

    উত্তরঃ মিথেন (60%) এবং কার্বন ডাই অক্সাইড (40%)।

    1. সূর্য থেকে তাপ কোন পদ্ধতিতে পৃথিবীতে আসে?

    উত্তরঃ বিকিরণ পদ্ধতিতে।

    1. কলকাতা ও দার্জিলিংয়ের মধ্যে কোন জায়গাতে বায়ুর চাপ কম হয়?

    উত্তরঃ দার্জিলিংয়ে।

    1. সমুদ্র বায়ু কখন প্রবাহিত হয়?

    উত্তরঃ দিনের বেলায়।

    1. ট্রপোস্ফিয়ারকে ক্ষুব্ধমণ্ডল কেন বলা হয়?

    উত্তরঃ মেঘ, ঝড়, বৃষ্টি প্রভৃতি আবহাওয়াগত বায়বীয় গোলযোগ এই স্তরে ঘটে বলে ক্ষুদ্ধমণ্ডল বলা হয়।

    1. বায়ুমণ্ডলের গ্রিন হাউস গ্যাস হ্রাস করার একটি উপায় উল্লেখ করো।

    উত্তরঃ বনভূমি সংরক্ষণ ও নতুন বনভূমি সৃষ্টি।

    1. স্থলবায়ু কোন দিক থেকে কোন দিকে প্রবাহিত হয়?

    উত্তরঃ স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে।

    1. নাইট্রোজেন ঘটিত একটি যৌগের নাম লেখো যা ওজোন স্তর ধ্বংসে সহায়তা করে?

    উত্তরঃ নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড।

    1. ক্লোরোফ্লুরোকার্বনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার উল্লেখ করো।

    উত্তরঃ জৈব দ্রাবকরূপে রেফ্রিজারেটর ও বাতানুকূল যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়।

    1. ওজোন স্তরের প্রধান ভূমিকা কী?

    উত্তরঃ সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করা।

    1. একটি প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম লেখো।

    উত্তরঃ কার্বন ডাই অক্সাইড।

    1. প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান কী?

    উত্তরঃ মিথেন (প্রধান), ইথেন ও প্রোপেন।

    1. কোন জীবাশ্ম জ্বালানির তাপন মূল্য সবচেয়ে বেশি?

    উত্তরঃ পেট্রোল।

    19.জীবাশ্ম জ্বালানির দহনে উৎপন্ন হয় এমন দুটি বায়ু দূষক গ্যাসের নাম

    উত্তরঃ কার্বন ডাইঅক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইড।

    1. সৌরকোশ কী কাজে ব্যবহৃত হয়?

    উত্তরঃ সূর্যের আলোকশক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করতে ব্যবহার করা হয়।

    1. সোলার হিটারের একটি ব্যবহার উল্লেখ করো।

    উত্তরঃ জল গরম করতে সোলার হিটার ব্যবহার করা হয় ।

    1. দুটি অপুনর্ভব শক্তি উৎসের নাম লেখো।

    উত্তরঃ সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি।

    1. LPG-এর পুরো কথাটি কী?

    উত্তরঃ লিকুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (Liquified Petroleum Gas)।

    1. CFC-এর পুরো কথাটি কী?

    উত্তরঃ ক্লোরোফ্লুরো কার্বন।

    সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান – 2) পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন

    1. কী কী কারণে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয় ?

    উত্তরঃ প্রাকৃতিক কারনে ও মনুষ্যসৃষ্টি কারনে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয়ে থাকে। মনুষ্যসৃষ্ট কারণের মধ্যে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC) যৌগসমূহ, নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ (NO, NO2 NO3 ইত্যাদি), হ্যালোন যৌগসমূহ যেমন- হ্যালোন 1211 ও হ্যালোন 1301) ওজোন স্তরের বিনাশ ঘটায়।

    1. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

    উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার (Stratosphere) : ট্রপোস্ফিয়ারের ওপর থেকে অর্থাৎ 20 কিমি থেকে 50 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের স্তরটি হল স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। এই স্তরে বাতাসের পরিমাণ কম এবং ধূলিকণা ও জলীয় বাষ্প না থাকায় এই স্তরকে শান্তমণ্ডল বলে। এই স্তরে কোনো বায়বীয় গোলযোগ না ঘটায় এই স্তরে জেট প্লেনগুলি সহজেই চলাচল করে। এই স্তরের ওপরের দিকের উষ্ণতা 0°CI

    1. মিথেন হাইড্রেট কী?

    উত্তরঃ মিথেন হাইড্রেট হল এক ধরনের কঠিন ক্ল্যাথরেট যৌগ, যা জল অণু (H2O) দিয়ে গঠিত বরফের মতো। কেলাসের মধ্যে অধিক পরিমাণে মিথেন (CH4) আবদ্ধ হয়ে এটি সৃষ্টি হয়। সংকেত  CH4. 5.7 H2O বা 4CH4. 23H2O। এটি সমুদ্রের ভূগর্ভস্থ স্তরে থাকে। মিথেন হাইড্রেটকে চাপ হ্রাস বা উত্তপ্ত করলে মিথেন উৎপন্ন হয়। এক লিটার কঠিন মিথেন হাইড্রেট থেকে STP-তে প্রায় 170 লিটার মিথেন গ্যাস পাওয়া যায়। ভবিষ্যাতে জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এটি বিশেষ সহায়ক হবে।

    1. ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরে উঠলে বায়ুর চাপের কী পরিবর্তন হয় তা কারণসহ উল্লেখ করো।

    উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠে সমুদ্রতল বরাবর বায়ুর চাপ সবচেয়ে বেশি। ভূপৃষ্ঠ থেকে যত ওপরে ওঠা যায় বায়ুর ঘনত্ব তত কমতে থাকে ফলে বায়ুর চাপও কমতে থাকে। ভূপৃষ্ঠা থেকে প্রতি কিমি ওপরে উঠলে বাতাসের চাপ পায় ৪.5 সেমি কমে যায়। সমুদ্র সমতলে চাপ যতটা থাকে পাহাড়ের চূড়ায় বায়ুর চাপ তার চেয়ে অনেক কম হয়।

    1. গ্রিনহাউস এফেক্ট কাকে বলে?

    উত্তরঃ গ্রিনহাউস প্রভাব বা এফেক্ট হল পরিবেশকে দূষিত করার একটি অন্যতম পদ্ধতি। বায়ুমণ্ডলে মূলত CO2 -এর ঘনত্ব বৃদ্ধির জন্যই পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটনাকে বলে গ্রিনহাউস প্রভাব বা এফেক্ট। 

    1. গ্রিনহাউস গ্যাস কাকে বলে ? কয়েকটি গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম লেখো।

    উত্তরঃ গ্রিনহাউস গ্যাস : বায়ুমণ্ডলে যে সমস্ত গ্যাসের উপস্থিতির জন্য গ্রিনহাউস ক্রিয়া সংঘটিত হয় তাদের গ্রিনহাউস গ্যাস বলে। যেমন- CO2 (প্রধান), জলীয় বাষ্প, মিথেন, ক্লোরোফ্লুরোকার্বন, নাইট্রাস অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টি করে।

    1. জ্বালানি কাকে বলে?

    উত্তরঃ জ্বালানিঃ যেসব দাহ্যবস্তুর দহনের ফলে প্রচুর তাপশক্তি উৎপন্ন হয় তাকে জ্বালানি বলে। সাধারণ কার্বন ঘটিত জ্বালানির মধ্যে কার্বন কিংবা কার্বন ও হাইড্রোজেন যুক্ত অবস্থায় থাকে। জ্বালানির দহনের সময় জ্বালানির মধ্যে উপস্থিত কার্বন ও হাইড্রোজেনের সঙ্গে বায়ুর অক্সিজেনের তাপ উৎপাদী রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। ফলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়।

    1. জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

    উত্তরঃ উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর দেহবশেষ থেকে উৎপন্ন জ্বালানিকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলে। যেমন— কয়লা, পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস।

    1. বায়োমাস বা জীবভর বলতে কী বোঝো? এটি কী কাজে ব্যবহার করা হয়?

    উত্তরঃ বায়োমাস বা জীবভর বলতে বোঝায় কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মোট ভর জীবভরের মধ্যে সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিরূপে অবস্থান করে। উদ্ভিজ্জ জীবভর, যেমন- কাঠ, পাতা, ডালপালা আগাছা ইত্যাদি এবং প্রাণীজ জীবভর, যেমন মৃত প্রাণীদেহ, প্রাণীর মল-মূত্ৰ ইত্যাদি। উদ্ভিজ্জ জীবভরকে সরাসরি জ্বালিয়ে অথবা কাঠকয়লায় পরিণত করার পর তা জ্বালিয়ে আমরা তাপশক্তি পেয়ে থাকি। এই তাপশক্তির সাহায্যে বাষ্প তৈরি করে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন করা হয়।

    1. বয়েলের সূত্রটি বিবৃত করো ।

    উত্তরঃ বয়েলের সূত্র : স্থির উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন ওই গ্যাসটির চাপের সঙ্গে ব্যস্তানুপাতে পরিবর্তিত হয়।

    1. চার্লসের সুত্রে ধ্রুবক দুটি কী কী?

    উত্তরঃ চার্লসের সূত্রের ধুবক দুটি- (i) গ্যাসের চাপ এবং (ii) গ্যাসের ভর।

    1. গ্যাসের ব্যাপন বলতে কী বোঝো?

    উত্তরঃ গ্যাসের ব্যাপন : পরস্পরের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে না এরূপ দুই বা তার বেশি গ্যাস একটি আবদ্ধ পাত্রে রাখলে গ্যাসগুলি স্বতঃস্ফৰ্তভাবে পরস্পরের সঙ্গে মিশে একটি সমসত্ত্ব গ্যাস মিশ্রণ উৎপন্ন করে। গ্যাসগুলির এভাবে পরস্পরের মধ্যে স্বতঃস্ফৰ্তভাবে ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতাকে ব্যাপন বলে।

    1. আবদ্ধ পাত্রে রাখা কোনো গ্যাসের অণুগুলির ওপর তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব কী হবে? গ্যাসের চাপের ওপরই বা এর প্রভাব কীভাবে পড়বে?

    উত্তরঃ তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে আবদ্ধ পাত্রে রাখা গ্যাসের অণুগুলির গতিবেগ বৃদ্ধি পাবে। এর প্রভাবে গ্যাসের চাপ বৃদ্ধি পাবে।

    1. পরমশূন্য উষ্ণতা কোনো গ্যাসের আয়তন বাস্তবে কি শূন্য হয়ে যায় বুঝিয়ে বলো।

    উত্তরঃ -273°C উষ্ণতায় পৌঁছোবার আগে সব গ্যাস তরলে পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই ওই উষ্ণতায় কোনো গ্যাসের আয়তন বাস্তবে শূন্য হয় না।

    1. পরম উষ্ণতা কাকে বলে? পরম শূন্য উষ্ণতা কোনো আদর্শ গ্যাসের আয়তন কত হবে?

    উত্তরঃ পরম উষ্ণতা: পরম স্কেল অনুযায়ী উষ্ণতার মানকে পরম উষ্ণতা বলে। পরম শূন্য উষ্ণতায় কোনো আদর্শ গ্যাসের আয়তন শূন্য হবে।

    1. কোনো গ্যাসের আয়তন উল্লেখ করার সময় গ্যাসের চাপ ও উষ্ণতা উল্লেখ করা হয় কেন?

    উত্তরঃ গ্যাসের আয়তন উল্লেখের সময় গ্যাসের চাপ ও উষ্ণতা উল্লেখ করতে হয়। কারণ নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের আয়তন তার ওপর প্রযুক্ত চাপ ও তার উষ্ণতার ওপর নির্ভর করে। উষ্ণতা স্থির রেখে নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের চাপ বৃদ্ধি বা হ্রাস করলে তার আয়তন হ্রাস বা বৃদ্ধি পায়। আবার চাপ থির রেখে নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের উষ্ণতা বৃদ্ধি বা হ্রাস করলে তার আয়তন বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়। তাই কোনো গ্যাসের আয়তন উল্লেখ করার সময় ওই গ্যাসের চাপ ও উষ্ণতা উল্লেখ করা প্রয়োজন।

    1. গে-লুসাকের চাপের সূত্রটি লেখো।

    উত্তরঃ সূত্র স্থির আয়তনে 1°C উষ্ণতা বৃদ্ধি বা হ্রাসের জন্য যে-কোনো নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের চাপ 0°C উষ্ণতায় ওই গ্যাসের যে চাপ থাকে যথাক্রমে তার  অংশ বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়।

    1. সর্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক কাকে বলে? একে সর্বজনীন বলা হয় কেন

    উত্তরঃ সর্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক: এক গ্রাম অণু বা 1 মোল যে-কোনো গ্যাসের ক্ষেত্রে PV=RT এই সমীকরণে R -কে বলা হয় মোলার গ্যাস ধ্রুবক। R -এর মান সব গ্যাসের ক্ষেত্রে সমান কারণ এর মান গ্যাসের ধর্ম বা প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। না, তাই এটি সর্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক।

    1. অ্যাভোগাড্রো সূত্রটি বিবৃত করো এবং ব্যাখ্যা করো।

    উত্তরঃ অ্যাভোগাড্রো সূত্র: একই উষ্ণতা ও চাপে সমআয়তন সমস্ত গ্যাসে সমান সংখ্যক অণু থাকে।

    ব্যাখ্যা : P চাপে এবং t উষ্ণতায় V cc অক্সিজেনের মধ্যে যদি n -সংখ্যক অণু থাকে, তবে ওই উষ্ণতা ও চাপে V cc হাইড্রোজেন, V cc কার্বন ডাই অক্সাইড, V cc নাইট্রোজেনের মধ্যেও n -সংখ্যক অণু থাকে।

    1. অ্যাভোগাড্রোর প্রকল্পকে সূত্র বলার তাৎপর্য কী?

    উত্তরঃ অ্যাভোগাড্রোর প্রকল্পকে সূত্র বলার তাৎপর্য : অ্যাভোগাড্রোর প্রকল্পটিকে পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণ করা না গেলেও এই প্রকল্পের সাহায্যে, গে-লুসাকের গ্যাস-আয়তন সূত্র, ডালটনের পরমাণুবাদ এতব আরও অনেক সূত্র ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়েছে। রসায়নে এমন কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি যা অ্যাভোগাড্রোর প্রকল্প বিরোধী। তাই অ্যাভোগাড্রোর প্রকল্পকে বর্তমানে অ্যাভোগাড্রো সূত্র বলা হয়।

    দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর : (মান – 3) গ্যাসের আচরণ (অধ্যায়-২) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন

    1. পুকুরের তলদেশ থেকে উৎপন্ন বুদবুদ যখন জলের উপরিতলে আসে তখন তার আয়তন বেড়ে যায় কেন?

    উত্তরঃ পুকুরের তলদেশ থেকে উৎপন্ন বুদবুদ যখন জলের উপরিতলে আসে তখন তার আয়তন বৃদ্ধি পায়- পুকুরের তলদেশে উৎপন্ন বুদবুদ হল গ্যাসীয় পদার্থ। এখন পুকুরের তলদেশে জলের গভীরতা বেশি হওয়ায় সেখানে জলের চাপ বেশি হয় এবং যত পুকুরের উপরিতলের দিকে আসা যায় তত জলের চাপ কমতে থাকে। তাই পুকুরের তলদেশে উৎপন্ন বুদবুদের ওপর জলের চাপ বেশি হওয়ায় তার আয়তন কম হয় এবং বুদবুদটি যত ওপরের দিকে উঠতে থাকে তার ওপর জলের চাপ তত কমতে থাকে। ফলে তার আয়তন বৃদ্ধি পায়।

    1. বেলুনে ফুঁ দিলে বেলুনের আয়তন বাড়ে এবং চাপও বাড়ে। এখানে বয়েলের সূত্র লঙ্ঘিত হচ্ছে কী?

    উত্তরঃ একটি নির্দিষ্ট উষ্ণতায় বেলুনে ফু দিলে বেলুনটির আয়তন বাড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে বেলুনের ভিতরের বাতাসের চাপও বাড়ে। যখন বেলুনে ফু দেওয়া হয় তখন বেলুনে অতিরিক্ত বাতাস প্রবেশ করে, ফলে বেলুনের ভিতরের বাতাসের ভর বেড়ে যায়, তাই আয়তন ও চাপ দুই-ই বেড়ে যায়। কিন্তু থির উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের ক্ষেত্রেই বয়েলের সূত্রটি প্রযোজ্য। তাই এক্ষেত্রে বয়েলের সূত্রটি প্রযোজ্য নয়।

    1. গ্যাসের অণুগুলির বেগের ও চাপের ওপর উষ্ণতার প্রভাব উল্লেখ করো

    উত্তরঃ গ্যসের অণুগুলির বেগের ও চাপের ওপর উষ্ণতার প্রভাব: উষ্ণতা বৃদ্ধি করলে গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলির গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। একটি আবদ্ধ পাত্রে নির্দিষ্ট ভরের গ্যাস রেখে অর্থাৎ আয়তন স্থির রেখে এর উষ্ণতা বৃদ্ধি করলে গ্যাসের অণুগুলির আগের বেগ বৃদ্ধি পায়। তখন আগের চেয়েও বেশি বেগে অণুগুলি  পাত্রের দেয়ালে আঘাত করে। ফলে গ্যাসের অণুগুলির বেগও হ্রাস পায়, ফলে গ্যাসের চাপ কমে যায়।

    1. বয়েলেব সূত্রটি লেখো এবং ব্যাখ্যা করো।

    উত্তরঃ বয়েলের সূত্র: স্থির উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের যে-কোনো গ্যাসের আয়তন ওই গ্যাসের চাপের সঙ্গে ব্যাস্তানুপাতে পরিবর্তিত হয়।

    সূত্রের ব্যাখ্যা : মনে করি, নির্দিষ্ট উয়তায় (T) নিদিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের আয়তন V এবং চাপ P, তাহলে

    বয়েলের সূত্র অনুসারে,   যখন T স্থির

     যেখানে  ধ্রুবক

    অর্থাৎ, PV = K = ধ্রুবক

    এখন যদি স্থির উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের P1 চাপে আয়তন V1 এবং P2 চাপে আয়তন V2 হয়, তবে বয়েলের সূত্রানুসারে, P1 V1 = P2 V2 = K (ধ্রুবক)

    সুতরাং, বয়েলের সূত্র থেকে বলা যায় স্থির উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের ক্ষেত্রে গ্যাসের আয়তন এবং চাপের গুণফল সর্বদা ধ্রুবক। অর্থাৎ। গ্যাসের চাপ বাড়ালে আয়তন কমে এবং চাপ কমালে আয়তন বাড়ে।

    1. চার্লসের সূত্র থেকে পরম শূন্যের মান নির্ণয় করো।

    উত্তরঃ স্থির চাপে 0°C উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের আয়তন V0 এবং t°C উষ্ণতায় ওই গ্যাসের আয়তন Vt হলে, চার্লসের সূত্র অনুযায়ী,

    ∴  উষ্ণতায় ওই গ্যাসের আয়তন

    অতএব,  উষ্ণতায় যে-কোনো গ্যাসের আয়তন শূন্য হয়ে যায়। তাই  উয়তাকে পরম শূন্য উষ্ণতা বলে।

    1. 76 সেমি চাপে 27°C তাপমাত্রায় কোনো গ্যাসের আয়তন 200 সিসি। তাপমাত্রা স্থির রেখে চাপে 38 সেমি করলে গ্যাসের আয়তন কত হবে?

    উত্তরঃ তাপমাত্রা স্থির থাকায় এর সমাধান বয়েলের সূত্র প্রযোজ্য হবে। এখানে, প্রাথমিক চাপ P1 = 76 সেমি প্রাথমিক আয়তন V1 = 200 সিসি অন্তিম চাপ P2 = 38 সেমি অন্তিম আয়তন V2 = ?

    বয়েলের সূত্রানুসারে, P1 V1 = P2 V2

    বা,  সিসি

    ∴ গ্যাসটির অন্তিম আয়তন = 400 সিসি।

    Madhyamik Suggestion 2023 | মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৩