বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik

Bangla Tutor

 


  1. ক্ষয়সীমা ধারণার প্রবর্তক কে ? 

(A) Powell 

(B) Penk 

(C) Chamberlin 

(D) Davis 

Ans: (A) Powell

  1. উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদী কয়টি প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায়—

(A) 2টি

(B) 3টি

(C) 4 টি 

(D) 2 টি প্রক্রিয়ায় 

Ans: (B) 3টি

  1. আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো নদীর গ্রান্ড ক্যানিয়ন এর গভীরতা কত ? 

(A) 1525 মি . 

(B) 2510 মি . 

(C) 1857 মি .

(D) 1975 মি .

Ans: (C) 1857 মি .

  1. কিউসেক হলো— 

(A) কিউবিক ফুট / সেকেন্ড 

(B) কিউমেক ফুট / সেকেন্ড 

(C) কিউবিক মিটার / সেকেন্ড 

(D) কোনোটিই নয়

Ans: (A) কিউবিক ফুট / সেকেন্ড

  1. কিউমেক হলো— 

(A) কিউবিক ফুট / সেকেন্ড 

(B) কিউমেক ফুট / সেকেন্ড 

(C) কিউবিক কিমি / সেকেন্ড 

(D) কিউবিক মিটার / সেকেন্ড 

Ans: (D) কিউবিক মিটার / সেকেন্ড

  1. গোয়ার মান্দোভি নদীর উপর ভারতের কোন বিখ্যাত জলপ্রপাত দেখা যায় ? 

(A) যোগ জলপ্রপাত 

(B) অ্যাঞ্ছেল জলপ্রপাত 

(C) দুধসাগর জলপ্রপাত 

(D) দশম জলপ্রপাত 

Ans: (C) দুধসাগর জলপ্রপাত

  1. কত সালে UNESCO সুন্দরবনকে World Heritage Site- এর অন্তর্ভুক্ত করে ?

(A) 1887 সালে 

(B) 1978 সালে 

(C) 1972 সালে 

(D) 1987 সালে 

Ans: (D) 1987 সালে

  1. বিখ্যাত ভূগোলবিদ অ্যালম্যান হিমবাহকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করেছেন ? 

(A) তিনটি ভাগে 

(B) দু’টি ভাগে 

(C) চারটি ভাগে 

(D) ছয়টি ভাগে 

Ans: (A) তিনটি ভাগে

  1. ভারতের একটি ঝুলন্ত উপত্যকার নাম হলো— 

(A) ঋষিগঙ্গা 

(B) নীলকণ্ঠ 

(C) মাকালু 

(D) সবক’টি ঠিক 

Ans: (A) ঋষিগঙ্গা 

  1. Basket of egg topography নামে পরিচিত— 

(A) বহিঃবিধৌত সমভূমি 

(B) রসে মতানে 

(C) ড্রামলিন 

(D) এস্কার 

Ans: (C) ড্রামলিন

  1. ইনসেলবার্জ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে গোলাকার মাথাবিশিষ্ট ঢিবিতে পরিণত হলে তাকে কী বলে ? (A) মেসা 

(B) বাটে 

(C) পেডিপ্লেন 

(D) বোর্নহার্ড 

Ans: (D) বোর্নহার্ড

  1. গভীর আবহবিকারের প্রভাবে বোর্নহার্ডগুলি প্রস্তরখণ্ডে পরিণত হলে তাকে কী বলে ? 

(A) ক্যাসেলকপিজ 

(B) বোর্নহার্ড 

(C) প্যানফ্যান 

(D) বাটে 

Ans: (A) ক্যাসেলকপিজ

  1. The physics of Blown sand and Desert Dunes ( 1941 ) গ্রন্থটির রচয়িতা কে ? 

(A) হামবল্ড 

(B) ব্যাগনণ্ড 

(C) জেফ্রিস 

(D) হার্টন 

Ans: (B) ব্যাগনণ্ড

সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করো | মাধ্যমিক ভূগোল – বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer : 

পৃথিবীর বৃহত্তম অববাহিকা হলো আমাজন অববাহিকা । 

Ans: সত্য ।


তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর উপর অবস্থিত সাংপো ক্যানিয়ন ( গভীরতা -5500 মি . ) পৃথিবীর গভীরতম ক্যানিয়ন ৷ 

Ans: সত্য ।


পৃথিবীর উচ্চতম সাল্টো অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত ( 99 ) ভেনেজুয়েলার গৌজা নদীর উপর অবস্থিত নয় ।

Ans: মিথ্যা ।


সুন্দরবন হলো পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য । 

Ans: সত্য ।


1989 সালে ভারত সরকার সুন্দরবনকে Biosphere Reserve হিসেবে ঘোষণা করে । 

Ans: সত্য ।


2009 সালে সুন্দরবনে আয়লা ঝড়ে মোট 400 কিমি বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয় । 

Ans: সত্য ।


পৃথিবীর মোট জলের 2.5 % হলো মিষ্টিজল আর মোট মিষ্টিজলের 68.7 % রয়েছে হিমবাহ ও বরফরূপে ।

Ans: সত্য ।


আন্টার্কটিকায় ( 90 % ) ও গ্রিনল্যান্ডে ( 09 % ) রয়েছে পৃথিবীর মোট হিমবাহের 99 % । 

Ans: সত্য । 


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে , ইংল্যান্ডে , স্কটল্যান্ডে যাকে করি , ফ্রান্সে তাকে সার্ক , জার্মানিতে কার , ওয়েলস – এ কাম বলে ৷ 

Ans: সত্য । 

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক ভূগোল – বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer : 

  1. পর্যায়ন বা Gradation শব্দটি কে ব্যবহার করেন ? 

Ans: Sud Chamberlin ও Salisbury . 

  1. নদী উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত কয়টি প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপ পরিবর্তন ঘটায় ও কী কী ? 

Ans: তিনটি প্রক্রিয়ায় । যথা – ক্ষয় , বহন , সঞ্চয় । 

  1. যে নদীতে উচ্চগতি , মধ্যগতি ও নিম্নগতি এই তিনটি গতিই স্পষ্ট লক্ষ করা যায় তাকে কী বলে ? 

Ans: আদর্শ নদী । 

  1. পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাতের নাম কী ? 

Ans: নেপালের কালিগণ্ডকী নদীর ওপর কালিগণ্ডকী গিরিখাত ( অন্ধ গলচি ) । গভীরতা 5571 মিটার ।

  1. পৃথিবীর সর্বাধিক বিস্তৃত ( 2.7 কিমি ) জলপ্রপাতের নাম কী ?

Ans: ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সীমান্তে ইগুয়াজু জলপ্রপাত । 

  1. এশিয়া তথা ভারতের বৃহত্তম নদীদ্বীপের নাম কী ? 

Ans: মাজুলি দ্বীপ ( অসমে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ) । ক্ষেত্রফল একসময় ছিল 1250 বর্গ কিমি । এখন প্রায় 422 বর্গ কিমি । 

  1. পৃথিবীর বৃহত্তম নদীদ্বীপের নাম কী ?

Ans: আমাজনের মোহনায় ইলহা – দ্য – মারাজো ( 40100 বর্গ কিমি ) । 

  1. হিমরেখার ঊর্ধ্বে প্রবল শৈত্যের কারণে পেঁজা তুলোর ন্যায় যে তুষারপাত হয় , তাকে কী বলে ?

Ans: নেভে । 

  1. গ্রেট গ্রিনওয়াল কোন মহাদেশে নির্মিত হয়েছে ? 

Ans: আফ্রিকা মহাদেশে । 

  1. নেভের উপর আরও তুষারপাত জনিত কারণে তুষারের দৃঢ়তা ও ঘনত্ব বাড়ে , একে কী বলে ?

Ans: ফা । 

  1. কেরালার মালাবার উপকূলের বালিয়াড়িকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে ? 

Ans: টেরিস । 

  1. দক্ষিণ আমেরিকায় প্লায়া হ্রদগুলি স্যালিনা , দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় প্যান এবং আরব অঞ্চলে কী নামে পরিচিত ? 

Ans: সবঘা বা শট । 

  1. কোন মহাদেশে ভূমিরূপ পরিবর্তনে নদীর ভূমিকা লক্ষ করা যায় না ? 

Ans: আন্টার্কটিকায় । 

  1. পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় ক্ষয়সীমা রয়েছে ? 

Ans: পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় । 

  1. দু’টি সিফ বালিয়াড়ির মধ্যবর্তী করিডরকে সাহারা মরুভূমিতে কী বলে ? 

Ans: গাসি । 

  1. গোলাকৃতির ইনসেলবার্জকে কী বলে ? 

Ans: বোর্নহার্ট । 

  1. কেটল হ্রদের মধ্যে সঞ্চিত পলির স্তরকে কী বলে ? 

Ans: ভার্ব । 

  1. হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে বহিঃবিধৌত সমভূমির মাঝে সৃষ্টি হওয়া ভূমিরূপকে কী বলে ?

Ans: নব ।

  1. বহিঃবিধৌত সমভূমি নদীর দ্বারা বিচ্ছিন্ন হলে তাকে কী বলে ? 

Ans: ভ্যালি ট্রেন । 

  1. মরুভূমি অঞ্চলে সৃষ্ট লবণাক্ত হ্রদকে কী বলে ?

Ans: প্লায়া ।

  1. প্লাবনভূমি ব – দ্বীপ কোন প্রক্রিয়ার দ্বারা সৃষ্টি হয় ? 

Ans: আরোহণ প্রক্রিয়ার দ্বারা । 

  1. নদীবাহিত শিলাখণ্ডের দ্বারা নদীখাতের ক্ষয়কে কী বলে ? 

Ans: অবঘর্ষ ক্ষয় । 

  1. বায়ুর দ্বারা শুষ্ক বালিকণা বহুদূরে বাহিত হয়ে সঞ্চিত হলে তাকে কী বলে ? 

Ans: লব । 

  1. তুষারপাতের ফলে বরফের ঘনত্ব ও দৃঢ়তা বৃদ্ধি পেলে তাকে কী বলে ? 

Ans: লোয়েস । 

  1. ব – দ্বীপ সমভূমি কোথায় সৃষ্টি হয়ে থাকে ? Ans: মোহনায় । 
  2. সমুদ্র উপকূল সংলগ্ন আংশিক জলপূর্ণ গিরিখাতকে কী বলা হয় ? 

Ans: ফিয়র্ড । 

  1. পর্বতের গায়ে যে সীমারেখার ওপর সারাবছর বরফ জমে থাকে তাকে কী বলে ? 

Ans: হিমরেখা 

  1. হিমবাহ থেকে নিঃসৃত জলস্রোতের মাধ্যমে হিমবাহ উপত্যকায় যে সমস্ত পলি সঞ্চিত হয় , তাকে কী বলে ?

Ans: ভেন্টিফ্যাক্ট । 

  1. প্রবহমাণ বায়ুর গতিপথের সঙ্গে সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠা বালিয়াড়িকে কী বলে ?

Ans: অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি । 

  1. বহির্জাত প্রক্রিয়াকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ? 

Ans: দু’টি ভাগে ( অবরোহণ ও আরোহণ প্রক্রিয়া ) । 

  1. হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে প্রাস্ত গ্রাবরেখায় সৃষ্টি হওয়া ত্রিকোণাকার ভূমিকে কী বলে ?

Ans: পলল ব্যজনী । 

  1. কঠিন শিলাযুক্ত অঞ্চলে কম ঢালযুক্ত ছোটো ছোটো জলপ্রপাতকে কী বলে ? 

Ans: ক্যাটার্যাক্ট । 

  1. হিমবাহের সামনের দিকে প্রাচীরের মতো শিলাস্তূপ সঞ্চিত হলে তাকে কী বলে ? 

Ans: প্রাস্ত গ্রাবরেখা । 

  1. প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমিরূপের যে পরিবর্তন সাধিত হয় , তাদের কী বলে ? 

Ans: ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া । 

  1. কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমিরূপের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে ? 

Ans: আরোহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে । 

  1. পর্বতের ঢাল বরাবর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা শিলাস্তর নীচে নেমে এলে তাকে কী বলে ? 

Ans: পুঞ্ছিত ক্ষয় 

  1. যে বহির্জাত শক্তি ( সূর্য , নদীপ্রবাহ , হিমবাহ , বায়ু প্রভৃতি ) দ্বারা ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটে , তাকে কী বলে ? 

Ans: বহির্জাত প্রক্রিয়া । 

  1. অবরোহণ প্রক্রিয়াকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ? 

Ans: তিনটি ভাগে ( আবহবিকার , পুঞ্ছিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবন ) । 

  1. আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান দ্বারা শিলা চূর্ণবিচূর্ণ ও বিয়োজিত হলে তাকে কী বলে ? Ans: অবহবিকার । 
  2. কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমিরূপের উচ্চতা হ্রাস পেয়ে থাকে ? 

Ans: অবরোহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে । 

  1. কোনো উচ্চভূমি বা পর্বত থেকে বরফগলা জল কিংবা বৃষ্টির জল ভূমির ঢাল বেয়ে কোনো সাগর , মহাসাগর বা হ্রদে গিয়ে মেশে , একে কী বলে ?

Ans: নদী । 

  1. যেসব ছোটো নদী কোনো মূলনদী বা প্রধান নদীর সাথে মিলিত হয় , তাকে কী বলে ? 

Ans: উপনদী । 

  1. যেসব ছোটো নদী প্রধান নদী থেকে বেরিয়ে এসে কোনো সাগর বা কোনো নদীতে পড়ে , তাকে কী বলে ?

Ans: শাখানদী । 

  1. যখন কোনো একটি প্রধান নদী ও তার উপনদীসমূহ পর্বত ও মালভূমির যেসকল অঞ্চল থেকে জল নিয়ে এসে পড়ে সেই অঞ্চলকে কী বলে ?

Ans: ধারণ অববাহিকা । 

  1. নদী যখন সমভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন কোনো স্থানে বাধা পেয়ে এঁকেবেঁকে অগ্রসর হয় , তাকে কী বলে ? 

Ans: নদীবাঁক । 

  1. পাশাপাশি অবস্থিত নদী অববাহিকাকে যে উচ্চভূমি পৃথক বা আলাদা করে , তাকে কী বলে ? 

Ans: জলবিভাজিকা । 

  1. সমপ্রায়ভূমিতে কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত অবশিষ্ট পাহাড়গুলিকে কী বলে ? 

Ans: মোনাডনক । 

  1. কার্য অনুসারে নদীপ্রবাহকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ? 

Ans: তিনটি ভাগে ( ক্ষয় , বহন ও সঞ্চয় ।  

  1. পার্বত্য অঞ্চলের গভীর ও সংকীর্ণ নদী উপত্যকাকে কী বলে ? 

Ans: ক্যানিয়ন । 

  1. পার্বত্য অঞ্চলে নদীর জলের দ্বারা বাহিত নুড়ি , বালি , পাথরের দ্বারা অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় নদীখাতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যে গোলাকার গর্তের সৃষ্টি হয় , তাকে কী বলে ?

Ans: মন্থকূপ বলে । 

  1. একই নদীতে অবস্থানরত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলপ্রপাতকে কী বলে ? 

Ans: কাসকেড 

  1. উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে যে সীমারেখার উর্ধ্বে তুষার জমে থাকে কিংবা গলে যায় , সেই সীমারেখাকে কী বলে ? 

Ans: হিমরেখা । 

  1. কোনো নদীর জল দ্বিগুণ হলে তার বহনক্ষমতাও দ্বিগুণ বাড়ে , কিন্তু ওই নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ হলে বহনক্ষমতা 26 বা 64 গুণ বেড়ে যায় , একে কী বলে ? 

Ans: নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র । 

  1. বন্যার ফলে নদীর উভয় তীরে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম নুড়ি , বালি , পলি , কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে যে নতুন ভূমির সৃষ্টি হয় , তাকে কী বলে ? 

Ans: প্লাবনভূমি । 

  1. নদীর উপকূলবর্তী অঞ্চলে বন্যার ফলে নুড়ি , বালি , কাঁকর , কাদা , পলি প্রভৃতি ধীরে ধীরে সঞ্চিত হয়ে যে উঁচু বাঁধের সৃষ্টি করে , তাকে কী বলে ? 

Ans: স্বাভাবিক বাঁধ । 

  1. নদীর মোহনায় জলের স্রোত কম হওয়ায় নদীবাহিত নুড়ি , বালি , কাদা , পলি প্রভৃতি ঐ অঞ্চলে সঞ্চিত হয়ে ত্রিকোণাকার যে দ্বীপের সৃষ্টি করে , তাকে কী বলে ? 

Ans: ব – দ্বীপ । 

  1. সমুদ্রজলে বিশালাকৃতির ভাসমান বরফের স্তূপকে কী বলে ? 

Ans: হিমশৈল । 

  1. করির পেছনে মস্তক দেওয়াল ও হিমবাহের মধ্যে যে ফাঁক দেখা যায় , তাকে কী বলে ? 

Ans: র্যান্ডক্লাফট । 

  1. প্রবহমাণ হিমবাহের চাপে ছোটো ছোটো শিলাখণ্ড যখন পর্বতগাত্র হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে , তখন তাকে কী বলে ? 

Ans: উৎপাটন প্রক্রিয়া । 

  1. হিমবাহ উপত্যকা ও হিমবাহের ঘর্ষণে যে ক্ষয় সাধিত হয় , তাকে কী বলে ? 

Ans: অবঘর্ষ প্রক্রিয়া । 

  1. পাশাপাশি অবস্থিত দু’টি করির বা সার্কের মাঝখানের খাড়া অংশটিকে কী বলে ? 

Ans: অ্যারেট বা হিমশিরা । 

  1. নদীমোহনা খুব প্রশস্ত হলে তাকে কী বলে ?

Ans: খাড়ি । 

  1. বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা পর্বত , মালভূমি , পাহাড় প্রভৃতি ক্ষয় পেয়ে সমভূমিতে পরিণত হয় , এই প্রকার ভূমিকে কী বলে ?

Ans: সমপ্ৰায়ভূমি । 

  1. উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সাথে সাথে নুড়ি , বালি , পাথর , শিলাচূর্ণ প্রভৃতি স্তূপাকারে জমা হয়ে নীচের দিকে এগিয়ে চলে , এই শিলাস্তূপকে কী বলে ? 

Ans: গ্রাবরেখা বা সোরেন । 

  1. ক্ষয়কার্যের ফলে পর্বতের গায়ে যখন বিভিন্ন দিক থেকে তিন – চারটি সার্কের সৃষ্টি হয় , তখন তার মাঝখানে যে খাড়া চূড়াটি লক্ষ করা যায় তাকে কী বলে ?

Ans: পিরামিড চূড়া । 

  1. হিমবাহের ক্রমাগত ক্ষয়কার্যের ফলে যেসব আড়াআড়ি পাড় কাটা পড়ে যায় । তাদের কী বলে ? 

Ans: কর্তিত পাড় । 

  1. পর্বতের খাড়া ঢাল বেয়ে হিমবাহ যখন নীচের দিকে নেমে আসে তখন পর্বতগাত্রে ফাটলের সৃষ্টি হয় , এগুলিকে কী বলে ? 

Ans: বাগমুন্ড । 

  1. পর্বতের পাদদেশে নুড়ি , বালি , প্রস্তরখণ্ড প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে ওলটানো চামচের মতো আকৃতিবিশিষ্ট যে টিলা সৃষ্টি হয় তাকে কী বলে ?

Ans: ড্রামলিন । 

  1. হিমবাহবাহিত নুড়ি , বালি , কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে যে ত্রিকোণাকার দ্বীপের ন্যায় ভূমিরূপ গঠন করে , তাকে কী বলে ? 

Ans: কেম । 

  1. বায়ুর গতির সমান্তরালে যেসব বালিয়াড়ি গঠিত হয় তাদের কী বলে ? 

Ans: অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি । 

  1. পলি , কাদা , নুড়ি প্রভৃতি পদার্থ কীভাবে প্রবাহিত হয় ? 

Ans: ভাসমান প্রক্রিয়ায় । 

  1. পৃথিবীর কোথায় লোয়েস সমভূমি লক্ষ করা যায় ? 

Ans: হোয়াংহো নদীর অববাহিকায় । 

  1. বায়ুপ্রবাহের গতিপথের সঙ্গে সমান্তরালভাবে দীর্ঘ ও সংকীর্ণ হয়ে যে বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে , তাকে কী বলে ? 

Ans: সিফ বালিয়াড়ি । 

  1. মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের গতিপথের সঙ্গে তির্যক বা আড়াআড়িভাবে অর্ধচন্দ্রাকার যে বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে তাকে কী বলে ? 

Ans: বাখান । 

  1. মরু অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার সম্মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট মৃদু ও ঢালবিশিষ্ট প্রস্তরময় ভূমিরূপকে কী বলে ? 

Ans: পেডিমেন্ট । 

  1. মরু অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশে পেডিমেন্টের নীচে অবনমিত অঞ্চলে নুড়ি , বালি , কাঁকর প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমি গঠন করে , তাকে কী বলে ? 

Ans: বাজাদা । 

  1. মরুভূমির অবনমিত অঞ্চলে সাময়িক বৃষ্টিপাতের ফলে জল জমা হয়ে যে লবণাক্ত হ্রদের সৃষ্টি হয় , তাকে কী বলে ? 

Ans: প্লায়া । 

  1. মরুভূমি অঞ্চলে সাময়িক বৃষ্টিপাতের দ্বারা যে নদীখাতের সৃষ্টি হয় , তাকে কী বলে ? 

Ans: ওয়াদি । 

  1. অতি সূক্ষ্ম বালুকণা , মাটির কণা বায়ুর দ্বারা পরিবাহিত হয়ে কোনো নীচু স্থানে জমা হয়ে যে সমভূমি গঠন করে , তাকে কী বলে ? 

Ans: লোয়েস সমভূমি । 

  1. মরুভূমিতে বিশাল অঞ্চল জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে বায়ুর দ্বারা বালি অপসারিত হলে সেই অঞ্চল ক্রমশ নীচু হয়ে ভূগর্ভের জলস্তর পর্যন্ত পৌঁছায় , এইরূপ অবস্থাকে কী বলে ? 

Ans: মরুদ্যান । 

  1. পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ উপত্যকা ও নদী উপত্যকার আকৃতি কীরূপ প্রকৃতির ? 

Ans: হিমবাহ উপত্যকা ‘ U ‘ অক্ষরের ন্যায় এবং নদী উপত্যকার আকৃতি ‘ I ‘ কিংবা ‘ V ’ অক্ষরের ন্যায় হয় । 

  1. নদীর কোন প্রবাহে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয় ? 

Ans: পার্বত্য প্রবাহে । 

  1. গঙ্গা নদীর পার্বত্য প্রবাহ কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ? 

Ans: গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত বিস্তৃত । 

  1. নদীর গতিপথের কোন অংশে সঞ্চয়কার্য বেশি হয় ? 

Ans: নিম্নগতিতে । 

  1. আহরণ ক্ষেত্র কাকে বলে ? 

Ans: কোনো একটি প্রধান নদী ও তার বিভিন্ন উপনদী যেসব অঞ্চলের জল সংগ্রহ করে সেইসব অঞ্চলকে একত্রে প্রধান নদীর আহরণ ক্ষেত্র বলে । 

  1. কোন কোন অঞ্চলে বালিয়াড়ি লক্ষ করা যায় ? 

Ans: উস্ল মরু অঞ্চলে , শুষ্ক অঞ্চলে এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে । 

  1. বায়ু কয়টি পদ্ধতিতে কার্য করে থাকে ? তিনটি পদ্ধতিতে । 

Ans: যথা— ক্ষয়সাধন , অপসারণ ও অধঃক্ষেপণ । 

  1. সয়কার্য হয়ে থাকে নদীর কোন গতিপথে ?

Ans: নিম্নগতিতে । 

  1. পার্বত্য অঞ্চলে নদীর প্রধান কাজ কী ? 

Ans: ক্ষয় । 

  1. নদীতে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনফুট জল প্রবাহিত হয় , তাকে কী বলে ? 

Ans: কিউসেক । 

  1. নদীতে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনমিটার জল প্রবাহিত হয় , তাকে কী বলে ? 

Ans: কিউমেক । খাড়া পাড় বা অবতল পাড় । 

  1. পৃথিবীর বৃহত্তম ব – দ্বীপের নাম কী ? নদীর স্রোতের আঘাতে নদীবাঁকের পাড় ভেঙে গিয়ে ডাঙার দিকে ঢুকে যায় , তাকে কী বলে ? 

Ans: গঙ্গা – ব্রহ্মপুত্র । 

  1. পাখির পায়ের মতো ব – দ্বীপ কোথায় লক্ষ করা যায় ? 

Ans: কৃষ্ণা, মিসিসিপি – মিসৌরি ব – দ্বীপ । 

  1. নদীবাকের যে দিকের পাড় নদীর দিকে এগিয়ে যায় , সেই পাড়কে কী বলে ? 

Ans: উত্তল বা ঢালু পাড় । 

  1. পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহের নাম কী ? 

Ans: ল্যামবার্ড । 

  1. পৃথিবীর বৃহত্তম পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহের নাম কী ?

Ans: আলাস্কার হুবার্ড । 

  1. ভারতের দীর্ঘতম পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহের নাম কী ? 

Ans: কারাকোরাম পবর্তের সিয়াচেন । 

  1. পৃথিবীর বৃহত্তম পাদদেশীয় হিমবাহের নাম কী ? 

Ans: আলাস্কার ম্যালাসপিনা । 

  1. রাজস্থানের থর মরুভূমিতে চলমান বালিয়াড়িকে কী বলা হয় ? 

Ans: থ্রিয়ান । 

  1. সমুদ্র উপকূল অঞ্চলে স্বল্প দীর্ঘ সংকীর্ণ অংশ যার মধ্যে জোয়ারের জল প্রবেশ করে , আবার ভাটার সময় খালি হয়ে যায় তাকে কী বলে ?

Ans: খাঁড়ি । 

  1. বালুকাময় মরুভূমিকে সাহারায় আর্গ , তুরস্কে কী বলে ?

Ans: কুম । 

  1. মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে যখন হিমবাহ অবস্থান করে তখন তাকে কী বলে ?

Ans: মহাদেশীয় হিমবাহ । 

  1. উপত্যকা হিমবাহ যখন নীচে নামতে নামতে পর্বতের পাদদেশে বিস্তৃত হয় তখন তাকে কী বলে ? 

Ans: পাদদেশীয় হিমবাহ । 

  1. হিমবাহের উপরিপৃষ্ঠে দারণের মতো সৃষ্ট ফাটলগুলিকে কী বলে ? 

Ans: ক্রেভাস । 

  1. শিলাময় মরুভূমিকে সাহারায় হামাদা , আলজেরিয়ায় রেগ ; মিশর ও লিবিয়ায় কী বলে ? 

Ans: সেরাব । 

  1. জলপ্রপাত সিঁড়ির মতো ধাপযুক্ত হলে তাকে কী বলে ? 

Ans: ক্যাসকেড । 

  1. সমুদ্র জলতল বৃদ্ধির কারণ কী ? 

Ans: বিশ্ব উন্নায়ন । 

  1. সুন্দরবনকে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ হিসেবে কত সালে ঘোষণা করা হয়েছে ? 

Ans: ১৯৮৯ সালে । 

  1. বিশ্ব উন্নায়নের প্রভাবে যে দ্বীপগুলি ডুবে যাচ্ছে তাদের নামগুলি কী ? 

Ans: ঘোড়ামারা , লোহাচড়া , নিউমুর বা পূর্বাশা দ্বীপ প্রভৃতি । 

  1. ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যে দ্বীপটি জেগে ওঠে তার নাম কী ? 

Ans: নিউমুর । 

  1. ‘ ডিম ভরতি ঝুড়ি ‘ ভূমিরূপ কাকে বলা হয় ? 

Ans: ড্রামলিনকে । 

  1. সার্কের মধ্যবর্তী শৈলশিরাকে কী বলে ? 

Ans: এরিটি । 

  1. বহিঃবিধৌত সমভূমির মাঝে মাঝে সৃষ্ট ঢিবি ও গর্তগুলিকে কী বলে ? 

Ans: নব ও কেটল । 

  1. হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে আঁকাবাঁকা শৈলশিরার মতো যে ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় তাকে কী বলে ?

Ans: এস্কার । 

  1. হিমবাহের দ্বারা সঞ্চিত বড়ো বড়ো শিলাখণ্ডকে কী বলে ? 

Ans: ইরাটিক । 

  1. পৃথিবীর বৃহত্তম স্বাদুজলের উৎস কী ?

Ans: হিমবাহ । 

  1. বহিঃবিধৌত সমভূমি সৃষ্টি হয় কার ফলে ?

Ans: হিমবাহ ও জলধারার কার্যের ফলে । 

  1. মরু অঞ্চলে শুষ্ক নদীখাতকে কী বলা হয় ?

Ans: ওয়াদি । 

  1. মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলের লবণাক্ত জলের হ্রদকে কী বলে ?

Ans: প্লায়া । 

  1. Cockscomb ভূমিরূপ কাকে বলা হয় ?

Ans: ইয়ার্দাং 

  1. মাশরুম রকস কাকে বলা হয় ? 

Ans: গৌর । 

  1. ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত কোন নদীর উপর সৃষ্টি হয়েছে ? 

Ans: জাম্বেসি । 

  1. হিমসিঁড়িতে জল জমে সৃষ্ট হ্রদকে কী বলে ?

Ans: প্যাটারনস্টার হ্রদ । 

  1. কোন দেশকে বলা হয় ফিয়র্ডের দেশ বা Land of Fiord’s ? 

Ans: নরওয়েকে । 

  1. পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীখাঁড়ির নাম কী ? 

Ans: নদীর খাঁড়ি । 

  1. পৃথিবীর দীর্ঘতম নদ / নদীর নাম কী ?

Ans: নীলনদ । 

  1. কেরালার মালাবার উপকূলের বালিয়াড়িকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে ? 

Ans: চৌরিস । 

  1. কোন নদীর ব – দ্বীপ করাতের দাঁতের মতো ? 

Ans: ইতালির তাইবা নদীর ব – দ্বীপ । 

  1. নদী উপত্যকার প্রবাহ পথ কোনো রেখার দ্বারা তুলে ধরলে যে রেখাচিত্রটি পাওয়া যায় তাকে কী বলে ? 

Ans: নদীর পার্শ্বচিত্র ।


বহির্জাত শক্তি ও প্রক্রিয়া কী ? 

Ans: যেসব প্রাকৃতিক শক্তি ভূপৃষ্ঠের ওপর প্রতিনিয়ত কাজ করে তাকে বহির্জাত শক্তি বলে । যেমন — নদী , সমুদ্রতরঙ্গ ইত্যাদি । যেসব প্রাকৃতিক শক্তি ভূপৃষ্ঠের ওপর ক্ষয় , পরিবহণ ও সঞ্চয়ের কাজ করে , সেই পদ্ধতিকে বহির্জাত প্রক্রিয়া বলে । যেমন — নদীর কাজ , হিমবাহের কাজ , বায়ুর কাজ ইত্যাদি । 


বহির্জাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য কী কী ? 

Ans: বহির্জাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি হলো— এই প্রক্রিয়া সাধারণত ভূপৃষ্ঠের ওপর কাজ করে । ও এই প্রক্রিয়া ভূপৃষ্ঠের ওপর অনুভূমিকভাবে কাজ করে । এই প্রক্রিয়ার প্রধান উৎস হলো নদী , হিমবাহ , উন্নতা , বৃষ্টিপাত ইত্যাদি । এই প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠের উঁচু স্থানে ক্ষয় এবং নিম্ন স্থানে সঞ্চয় ঘটে । 


পর্যায়ন কাকে বলে ? 

বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি যথা— নদী , হিমবাহ , বায়ু , সমুদ্রতরঙ্গ প্রভৃতির দ্বারা ক্ষয় , পরিবরহণ ও সঞ্চয়কার্যের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের যে সামঞ্জস্য বজায় রাখে তাকে পর্যায়ন বলে । 


অবরোহণ কাকে বলে ? 

Ans: যেসব প্রাকৃতিক শক্তি যথা ― নদী , হিমবাহ , বায়ু ভূপৃষ্ঠের উচু স্থানগুলিকে ক্ষয় করে সমতল ভূমিতে পরিণত করে , তাকে ক্ষয়সাধন বা অবরোহণ বলে । 


আরোহণ কাকে বলে ? 

Ans: যেসব প্রাকৃতিক শক্তি যথা― নদী , হিমবাহ , বায়ু , সমুদ্রতরঙ্গ প্রভৃতির দ্বারা ভূপৃষ্ঠের নীচু স্থানগুলির সঞ্চয় প্রক্রিয়ায় উচ্চতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় , তাকে সঞয়সাধন বা আরোহণ বলে । 


আবহবিকার কাকে বলে ? 

Ans: আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যথা — উন্নতা , আর্দ্রতা , বৃষ্টিপাত প্রভৃতির দ্বারা করে বলে একে বিচূর্ণীভবনও বলা হয় । ভূপৃষ্ঠের ওপরে অবস্থিত শিলার বিয়োজনকে বলা হয় আবহবিকার । 


শিলাকে চূর্ণবিচূর্ণ যান্ত্রিক ও রাসায়নিক আবহবিকার কী ? 

Ans: আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান দ্বারা শিলার বিয়োজন বা ভাঙনকে যান্ত্রিক আবহবিকার বলে । আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান ছাড়া গ্যাসীয় উপাদান যথা — অক্সিজেন , কার্বন ডাই – অক্সাইড প্রভৃতির দ্বারা শিলার বিয়োজন বা ভাঙনকে রাসায়নিক আবহবিকার বলে । 


ক্ষয়ীভবন কাকে বলে ? 

Ans: বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা উৎপত্তিস্থল থেকে অন্যত্র ক্ষয়িত পদার্থ পরিবাহিত হয়ে ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা হ্রাস পায় এবং ক্ষয়ের শেষ সীমায় এসে উপনীত হয় , তাকে ক্ষয়ীভবন বলে । 


নগ্নীভবন কাকে বলে ? 

Ans: বহির্জাত প্রক্রিয়ায় আবহবিকার , পুঞ্ছিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবন পদ্ধতির যৌথ প্রক্রিয়ায় শিলাস্তর বিচ্ছিন্ন হয়ে ভূমির উচ্চতা ক্রমশ হ্রাস পায় , তাকে নগ্নীভবন বলে । নগ্নীভবন আবহবিকার + পুঞ্জিত ক্ষয় + ক্ষয়ীভবন । 


জলচক্র কাকে বলে ? 

Ans: পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল , শিলামণ্ডল ও বারিমণ্ডলে প্রতিনিয়ত চক্রাকার কঠিন , তরল ও গ্যাসীয় অবস্থার মধ্য দিয়ে জলের ভারসাম্য বজায় রাখার ঘটনাকে জলচক্র বলে । 


নদ ও নদী কী ? 

Ans: স্বাভাবিক জলধারা অভিকর্ষ শক্তির টানে ভূমির ঢাল অনুসারে নীচের দিকে প্রবাহিত হয়ে কোনো জলাশয়ে মিলিত হলে তাকে নদী বলে । যেসব জলধারা পুরুষ নামে – ব্রহ্মপুত্র নদ , গঙ্গা নদী । পরিচিত তাদের নদ এবং যেসব জলধারা স্ত্রী নামে পরিচিত তাদের নদী বলে । 


নদী উপত্যকা ও নদী অববাহিকা কাকে বলে ? 

Ans: নদীর উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত গতিপথের দু’পাশের দীর্ঘ ও সংকীর্ণ নিম্নভূমির মাঝ বরাবর যে জলধারা প্রবাহিত হয় তাকে নদী উপত্যকা বলে । আর প্রধান নদী তার উপনদী ও শাখাপ্রশাখা নিয়ে যে অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় , সেই অঞ্চলকে ঐ নদীর অববাহিকা বলে । 


ধারণ অববাহিকা কাকে বলে ? 

Ans: যখন কোনো একটি প্রধান নদী ও তার উপনদীসমূহ পর্বত ও মালভূমির যেসকল অঞ্চল থেকে জল নিয়ে এসে প্রবাহিত হয় অর্থাৎ অসংখ্য উপনদী সহ প্রধান নদীর অববাহিকাকে ধারণ অববাহিকা বলে । 


জলবিভাজিকা কাকে বলে ? 

Ans: পাশাপাশি অবস্থিত নদী অববাহিকাকে যে উচ্চভূমি ( পাহাড় , পর্বত ) পরস্পর থেকে আলাদা করে তাকে জলবিভাজিকা বলে । যেমন — মধ্য এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চল বিশ্বের বৃহত্তম জলবিভাজিকা । 


নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র কী ? 

Ans: নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেলে তার বহনক্ষমতা 26 বা 64 গুণ বৃদ্ধি পায় । নদীর গতিবেগের সঙ্গে তার বহনক্ষমতার আনুপাতিক সম্পর্ককে নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র বলে । 


আদর্শ নদী কাকে বলে ? 

Ans: যে নদীর গতিপথে উচ্চগতি , মধ্যগতি , নিম্নগতি এই তিনটি প্রবাহ সুস্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায় , তাকে আদর্শ নদী বলে । যেমন — গঙ্গা , সিন্ধু , নীল , আমাজন , মিসিসিপি নদী প্রভৃতি । 


ক্যানিয়ন কাকে বলে ? 

Ans: শুষ্ক মরু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের অভাবে পার্শ্বক্ষয় একেবারে হয় না বললেই চলে । এই অঞ্চলে ‘ I ‘ আকৃতির নদী উপত্যকা অত্যন্ত গভীর ও সংকীর্ণ নলের মতো আকৃতিবিশিষ্ট হয় এই ভূমিরূপকে ক্যানিয়ন বলে । যেমন— গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন । 


খরস্রোত কাকে বলে ? 

Ans: নদীর গতিপথে কোথাও কোথাও কঠিন ও কোমল শিলা উল্লম্বভাবে অবস্থান করলে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে কোমল শিলা ক্ষয় পেয়ে সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে নেমে আসে । এই সিঁড়িগুলিতে ছোটো ছোটো জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয় এগুলিকে বলা হয় খরস্রোত । ক্ষুদ্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের জলপ্রপাতকে র্যাপিড বলে । 


প্রপাতকূপ কাকে বলে ? 

Ans: জলপ্রপাতের পাদদেশে প্রবল জলস্রোত ও প্রস্তরখণ্ডের আঘাতে বুদ বুদ ক্ষয়ের মাধ্যমে যে কূপের মতো গর্তের সৃষ্টি হয় তাকে প্রপাতকূপ বা প্রাপুল বলে । 


খাড়ি , ব – দ্বীপ কাকে বলে ? 

Ans: নদীর নিম্নগতিতে ব – দ্বীপহীন প্রশস্ত নদীমোহনাকে খাড়ি বলে । নদীবাহিত বিভিন্ন পদার্থ মোহনায় সঞ্চিত হয়ে মাত্রাহীন ব – এর মতো যে ভূমিরুপ গঠিত হয় তাকে ব – দ্বীপ বলে । 


ক্রেভাস ও বার্গমুন্ড কী ? 

Ans: প্রবাহপথে হিমবাহের গায়ে সংকোচন ও প্রসারণের ফলে যে ফাটলের সৃষ্টি হয় তাকে ক্রেভাস বলে । পর্বত গাত্রে জমে থাকা বরফস্তূপ ও পার্বত্য হিমবাহের মধ্যে যে সংকীর্ণ ও গভীর ফাটল সৃষ্টি হয় , তাকে জার্মান ভাষায় বার্গমুন্ড বলে । 


ঝুলন্ত উপত্যকা কী ? 

Ans: প্রধান নদীর সাথে ছোটো ছোটো উপনদী এসে যেমন মিলিত হয় , ঠিক সেইরূপ প্রধান হিমবাহের সাথে ছোটো ছোটো হিমবাহ মিলিত হতে থাকে । প্রধান হিমবাহ বৃহৎ হওয়ায় তার উপত্যকা ক্ষুদ্রাকার হিমবাহের উপত্যকা অপেক্ষা অধিক গভীর হয় । পরে এই উপত্যকা সরে গেলে ক্ষুদ্রাকার উপত্যকা হিমবাহ দেখে মনে হয় যেন প্রধান হিমবাহের উপর ঝুলছে । এইরূপ উপত্যকাকে ঝুলন্ত উপত্যকা বলে । 


কর্তিত শৈলশিরা কাকে বলে ?

Ans: হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে শৈলশিরাগুলির অগ্রভাগ কেটে খাড়া ঢালে পরিণত হলে তাদের কর্তিত শৈলশিরা বলে । হিমালয় , আল্পস প্রভৃতি পর্বতে লক্ষ করা যায় । 


হিমদ্রোণি কী ? 

Ans: পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাটন ও অবঘর্ষণের প্রভাবে হিমবাহ উপত্যকার তলদেশ অত্যন্ত প্রশস্ত হয় এবং পার্শ্বদেশ মসৃণ এবং খাড়া ঢালযুক্ত হয় , এইরূপ উপত্যকাকে হিমদ্রোণি বলে । 


হিমবাহ কী ? 

Ans: পর্বতগাত্রে তুষার জমে বিশালাকৃতির বরফের স্তূপ যখন বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অবস্থান করে এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ধীরে ধীরে নীচের দিকে নেমে আসে , তাকে হিমবাহ বলে । 


রসে মতানে কাকে বলে ? 

Ans: হিমবাহ তার গতিপথে ক্ষয়কার্যের ফলে কঠিন শিলার বাধাকে অতিক্রম করলে হিমবাহের প্রবাহের দিক মসৃণ হয় এবং বিপরীত দিক অমসৃণ হয় । এইরূপ ভূমিরূপকে রসে মতানে বলে । 


ক্রাগ ও টেল কী ?

Ans: হিমবাহের গতিপথে কঠিন শিলাস্তূপের পেছনে নরম শিলাস্তর অবস্থান করলে হিমবাহের ক্ষয় থেকে রক্ষা পেয়ে টিলার মতো এই শিলা উঁচু হয়ে থাকে , একে ক্রাগ বলে । এর পেছনের কোমল শিলাকে টেল বলে । 


ফ্রিয়র্ড ও ফিয়ার্ড কী ? 

Ans: বিশেষত সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে হিমবাহ তার উপত্যকাগুলিকে এত গভীরভাবে ক্ষয় করে যে সেগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নীচু হয়ে যায় এবং বরফ মুক্ত হলে পরে সমুদ্রের জলে ভরে যায় । হিমবাহ দ্বারা সৃষ্ট কিন্তু সমুদ্রের জলপূর্ণ এইরূপ উপত্যকাকে ফিয়র্ড বলে । অগভীর ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ফিয়র্ডকে ফিয়ার্ড বলে । 


এস্কার ও কেম কাকে বলে ? 

Ans: হিমবাহের তলদেশে নুড়ি পাথর , বালি , কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে গঠিত আঁকাবাঁকা সংকীর্ণ শৈলশিরাকে বলা হয় এস্কার । হিমবাহবাহিত নুড়ি , বালি , কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে যে ত্রিকোণাকার দ্বীপের ন্যায় ভূমিরূপ গঠন করে তাকে কেম বলে । 


নদীর ক্ষয়সীমা কাকে বলে ? 

Ans: সমুদ্রজলের উচ্চসীমাকে সমুদ্রতল হিসেবে ধরা হয় । সমুদ্রে পতিত নদী সর্বদাই এই সমুদ্রতলের সঙ্গে সমতা বজায় রেখে ক্ষয়কার্য করে থাকে অর্থাৎ নদী যে উচ্চতার নীচে আর নিম্নক্ষয় করে না , তাকে নদীর ক্ষয়ের শেষ সীমা বলে । 


স্বাভাবিক বাঁধ বা লেভি কাকে বলে ? 

Ans: নদীর সমভূমি প্রবাহে বন্যার ফলে কোনো কোনো অঞ্চলে নদীর তীর বরাবর নুড়ি , বালি , কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে যে উঁচু বাঁধের সৃষ্টি হয় , তাকে স্বাভাবিক বাঁধ বলে । 


হিমানী সম্প্রপাত কাকে বলে ? 

Ans: কখনো কখনো ভূমিঢালের দরুন গতিশীল হিমবাহ থেকে বিশালাকার বরফস্তূপ ভেঙে অতিদ্রুত নীচে নেমে আসে , একেই হিমানী সম্প্রপাত বলে । 


গ্রাবরেখা কাকে বলে ? 

Ans: উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে হিমবাহ নুড়ি , বালি , কাকড় , কাদা , পলি প্রভৃতি সহ স্তূপাকারে নীচের দিকে এগিয়ে চলে , এই শিলাস্তূপকে বলা হয় গ্রাবরেখা বা মোরেন । 


কেটল এবং কেটল হ্রদ কাকে বলে ? বহিঃবিধৌত সমভূমিতে অনেকসময় বরফের টুকরো থেকে যায় । পরবর্তীতে সেই বরফের টুকরোগুলি গলে গেলে অঞ্চলটি গর্তরূপে অবস্থান করে । এ জাতীয় গর্তকে কেটল হ্রদ । বলা হয় কেটল । আবার কেটলগুলি জলপূর্ণ হয়ে যে হ্রদের সৃষ্টি করে , তাকে বলা হয় । 

এরিটি কী ? 

Ans: হিমবাহের ঘর্ষণের ফলে সৃষ্টি হওয়া পাশাপাশি দু’টি সার্ক – এর মাঝখানে যে খাড়াই শৈলশিরা অবস্থান করে , তাকে এরিটি বলে । 


পিড়ামিড চূড়া কাকে বলে ? 

Ans: পর্বতের গায়ে ক্রমাগত ক্ষয়কার্যের ফলে যখন বিভিন্ন দিক থেকে তিন – চারটি সার্কের সৃষ্টি হয় তখন তার মাঝখানের খাড়াই চূড়াটি পিরামিডের মতো আকৃতিবিশিষ্ট হয় । এইভাবে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট পিরামিডের মতো আকৃতিবিশিষ্ট পর্বত চূড়াকে পিরামিড চূড়া বলে । 


নুনাটাক কাকে বলে ? 

Ans: মহাদেশীয় হিমবাহের মধ্যে মাঝে মাঝে বিশেষ করে প্রান্তভাগের দিকে যেখানে বরফের স্তর খুব একটা পুরু থাকে না সেখানে কিছু কিছু পাহাড়ের অংশ বরফমুক্ত অবস্থায় জেগে থাকে । এইরূপ হিমবাহের মধ্যে বরফমুক্ত উচ্চভাগকে এস্কিমো ভাষায় নুনাটাক বলে । 


অপসারণ গর্ত কী ? 

Ans: মরু অঞ্চলে বায়ুর অপসারণ কার্যের ফলে বালুকণা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে গেলে কালক্রমে সেখানে অবনত স্থানের সৃষ্টি হয় । এই অবনমিত স্থান গভীর গরে রূপ নিলে তাকে অপসারণ গর্ত বলে । 


মরুদ্যান বা Oasis কাকে বলে ? 

Ans: মরু অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে অপসারণ ক্ষয়কার্যের ফলে অবনমিত স্থানের সৃষ্টি হলে সেই অবনমিত স্থানে জল জমে যে হ্রদের সৃষ্টি হয় , তাকে মরুদ্যান বা Oasis বলে ।