
- ক্ষয়সীমা ধারণার প্রবর্তক কে ?
(A) Powell
(B) Penk
(C) Chamberlin
(D) Davis
Ans: (A) Powell
- উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদী কয়টি প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায়—
(A) 2টি
(B) 3টি
(C) 4 টি
(D) 2 টি প্রক্রিয়ায়
Ans: (B) 3টি
- আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো নদীর গ্রান্ড ক্যানিয়ন এর গভীরতা কত ?
(A) 1525 মি .
(B) 2510 মি .
(C) 1857 মি .
(D) 1975 মি .
Ans: (C) 1857 মি .
- কিউসেক হলো—
(A) কিউবিক ফুট / সেকেন্ড
(B) কিউমেক ফুট / সেকেন্ড
(C) কিউবিক মিটার / সেকেন্ড
(D) কোনোটিই নয়
Ans: (A) কিউবিক ফুট / সেকেন্ড
- কিউমেক হলো—
(A) কিউবিক ফুট / সেকেন্ড
(B) কিউমেক ফুট / সেকেন্ড
(C) কিউবিক কিমি / সেকেন্ড
(D) কিউবিক মিটার / সেকেন্ড
Ans: (D) কিউবিক মিটার / সেকেন্ড
- গোয়ার মান্দোভি নদীর উপর ভারতের কোন বিখ্যাত জলপ্রপাত দেখা যায় ?
(A) যোগ জলপ্রপাত
(B) অ্যাঞ্ছেল জলপ্রপাত
(C) দুধসাগর জলপ্রপাত
(D) দশম জলপ্রপাত
Ans: (C) দুধসাগর জলপ্রপাত
- কত সালে UNESCO সুন্দরবনকে World Heritage Site- এর অন্তর্ভুক্ত করে ?
(A) 1887 সালে
(B) 1978 সালে
(C) 1972 সালে
(D) 1987 সালে
Ans: (D) 1987 সালে
- বিখ্যাত ভূগোলবিদ অ্যালম্যান হিমবাহকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করেছেন ?
(A) তিনটি ভাগে
(B) দু’টি ভাগে
(C) চারটি ভাগে
(D) ছয়টি ভাগে
Ans: (A) তিনটি ভাগে
- ভারতের একটি ঝুলন্ত উপত্যকার নাম হলো—
(A) ঋষিগঙ্গা
(B) নীলকণ্ঠ
(C) মাকালু
(D) সবক’টি ঠিক
Ans: (A) ঋষিগঙ্গা
- Basket of egg topography নামে পরিচিত—
(A) বহিঃবিধৌত সমভূমি
(B) রসে মতানে
(C) ড্রামলিন
(D) এস্কার
Ans: (C) ড্রামলিন
- ইনসেলবার্জ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে গোলাকার মাথাবিশিষ্ট ঢিবিতে পরিণত হলে তাকে কী বলে ? (A) মেসা
(B) বাটে
(C) পেডিপ্লেন
(D) বোর্নহার্ড
Ans: (D) বোর্নহার্ড
- গভীর আবহবিকারের প্রভাবে বোর্নহার্ডগুলি প্রস্তরখণ্ডে পরিণত হলে তাকে কী বলে ?
(A) ক্যাসেলকপিজ
(B) বোর্নহার্ড
(C) প্যানফ্যান
(D) বাটে
Ans: (A) ক্যাসেলকপিজ
- The physics of Blown sand and Desert Dunes ( 1941 ) গ্রন্থটির রচয়িতা কে ?
(A) হামবল্ড
(B) ব্যাগনণ্ড
(C) জেফ্রিস
(D) হার্টন
Ans: (B) ব্যাগনণ্ড
সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করো | মাধ্যমিক ভূগোল – বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer :
পৃথিবীর বৃহত্তম অববাহিকা হলো আমাজন অববাহিকা ।
Ans: সত্য ।
তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর উপর অবস্থিত সাংপো ক্যানিয়ন ( গভীরতা -5500 মি . ) পৃথিবীর গভীরতম ক্যানিয়ন ৷
Ans: সত্য ।
পৃথিবীর উচ্চতম সাল্টো অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত ( 99 ) ভেনেজুয়েলার গৌজা নদীর উপর অবস্থিত নয় ।
Ans: মিথ্যা ।
সুন্দরবন হলো পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য ।
Ans: সত্য ।
1989 সালে ভারত সরকার সুন্দরবনকে Biosphere Reserve হিসেবে ঘোষণা করে ।
Ans: সত্য ।
2009 সালে সুন্দরবনে আয়লা ঝড়ে মোট 400 কিমি বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয় ।
Ans: সত্য ।
পৃথিবীর মোট জলের 2.5 % হলো মিষ্টিজল আর মোট মিষ্টিজলের 68.7 % রয়েছে হিমবাহ ও বরফরূপে ।
Ans: সত্য ।
আন্টার্কটিকায় ( 90 % ) ও গ্রিনল্যান্ডে ( 09 % ) রয়েছে পৃথিবীর মোট হিমবাহের 99 % ।
Ans: সত্য ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে , ইংল্যান্ডে , স্কটল্যান্ডে যাকে করি , ফ্রান্সে তাকে সার্ক , জার্মানিতে কার , ওয়েলস – এ কাম বলে ৷
Ans: সত্য ।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক ভূগোল – বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer :
- পর্যায়ন বা Gradation শব্দটি কে ব্যবহার করেন ?
Ans: Sud Chamberlin ও Salisbury .
- নদী উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত কয়টি প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপ পরিবর্তন ঘটায় ও কী কী ?
Ans: তিনটি প্রক্রিয়ায় । যথা – ক্ষয় , বহন , সঞ্চয় ।
- যে নদীতে উচ্চগতি , মধ্যগতি ও নিম্নগতি এই তিনটি গতিই স্পষ্ট লক্ষ করা যায় তাকে কী বলে ?
Ans: আদর্শ নদী ।
- পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাতের নাম কী ?
Ans: নেপালের কালিগণ্ডকী নদীর ওপর কালিগণ্ডকী গিরিখাত ( অন্ধ গলচি ) । গভীরতা 5571 মিটার ।
- পৃথিবীর সর্বাধিক বিস্তৃত ( 2.7 কিমি ) জলপ্রপাতের নাম কী ?
Ans: ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সীমান্তে ইগুয়াজু জলপ্রপাত ।
- এশিয়া তথা ভারতের বৃহত্তম নদীদ্বীপের নাম কী ?
Ans: মাজুলি দ্বীপ ( অসমে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ) । ক্ষেত্রফল একসময় ছিল 1250 বর্গ কিমি । এখন প্রায় 422 বর্গ কিমি ।
- পৃথিবীর বৃহত্তম নদীদ্বীপের নাম কী ?
Ans: আমাজনের মোহনায় ইলহা – দ্য – মারাজো ( 40100 বর্গ কিমি ) ।
- হিমরেখার ঊর্ধ্বে প্রবল শৈত্যের কারণে পেঁজা তুলোর ন্যায় যে তুষারপাত হয় , তাকে কী বলে ?
Ans: নেভে ।
- গ্রেট গ্রিনওয়াল কোন মহাদেশে নির্মিত হয়েছে ?
Ans: আফ্রিকা মহাদেশে ।
- নেভের উপর আরও তুষারপাত জনিত কারণে তুষারের দৃঢ়তা ও ঘনত্ব বাড়ে , একে কী বলে ?
Ans: ফা ।
- কেরালার মালাবার উপকূলের বালিয়াড়িকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে ?
Ans: টেরিস ।
- দক্ষিণ আমেরিকায় প্লায়া হ্রদগুলি স্যালিনা , দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় প্যান এবং আরব অঞ্চলে কী নামে পরিচিত ?
Ans: সবঘা বা শট ।
- কোন মহাদেশে ভূমিরূপ পরিবর্তনে নদীর ভূমিকা লক্ষ করা যায় না ?
Ans: আন্টার্কটিকায় ।
- পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় ক্ষয়সীমা রয়েছে ?
Ans: পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ।
- দু’টি সিফ বালিয়াড়ির মধ্যবর্তী করিডরকে সাহারা মরুভূমিতে কী বলে ?
Ans: গাসি ।
- গোলাকৃতির ইনসেলবার্জকে কী বলে ?
Ans: বোর্নহার্ট ।
- কেটল হ্রদের মধ্যে সঞ্চিত পলির স্তরকে কী বলে ?
Ans: ভার্ব ।
- হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে বহিঃবিধৌত সমভূমির মাঝে সৃষ্টি হওয়া ভূমিরূপকে কী বলে ?
Ans: নব ।
- বহিঃবিধৌত সমভূমি নদীর দ্বারা বিচ্ছিন্ন হলে তাকে কী বলে ?
Ans: ভ্যালি ট্রেন ।
- মরুভূমি অঞ্চলে সৃষ্ট লবণাক্ত হ্রদকে কী বলে ?
Ans: প্লায়া ।
- প্লাবনভূমি ব – দ্বীপ কোন প্রক্রিয়ার দ্বারা সৃষ্টি হয় ?
Ans: আরোহণ প্রক্রিয়ার দ্বারা ।
- নদীবাহিত শিলাখণ্ডের দ্বারা নদীখাতের ক্ষয়কে কী বলে ?
Ans: অবঘর্ষ ক্ষয় ।
- বায়ুর দ্বারা শুষ্ক বালিকণা বহুদূরে বাহিত হয়ে সঞ্চিত হলে তাকে কী বলে ?
Ans: লব ।
- তুষারপাতের ফলে বরফের ঘনত্ব ও দৃঢ়তা বৃদ্ধি পেলে তাকে কী বলে ?
Ans: লোয়েস ।
- ব – দ্বীপ সমভূমি কোথায় সৃষ্টি হয়ে থাকে ? Ans: মোহনায় ।
- সমুদ্র উপকূল সংলগ্ন আংশিক জলপূর্ণ গিরিখাতকে কী বলা হয় ?
Ans: ফিয়র্ড ।
- পর্বতের গায়ে যে সীমারেখার ওপর সারাবছর বরফ জমে থাকে তাকে কী বলে ?
Ans: হিমরেখা
- হিমবাহ থেকে নিঃসৃত জলস্রোতের মাধ্যমে হিমবাহ উপত্যকায় যে সমস্ত পলি সঞ্চিত হয় , তাকে কী বলে ?
Ans: ভেন্টিফ্যাক্ট ।
- প্রবহমাণ বায়ুর গতিপথের সঙ্গে সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠা বালিয়াড়িকে কী বলে ?
Ans: অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি ।
- বহির্জাত প্রক্রিয়াকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ?
Ans: দু’টি ভাগে ( অবরোহণ ও আরোহণ প্রক্রিয়া ) ।
- হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে প্রাস্ত গ্রাবরেখায় সৃষ্টি হওয়া ত্রিকোণাকার ভূমিকে কী বলে ?
Ans: পলল ব্যজনী ।
- কঠিন শিলাযুক্ত অঞ্চলে কম ঢালযুক্ত ছোটো ছোটো জলপ্রপাতকে কী বলে ?
Ans: ক্যাটার্যাক্ট ।
- হিমবাহের সামনের দিকে প্রাচীরের মতো শিলাস্তূপ সঞ্চিত হলে তাকে কী বলে ?
Ans: প্রাস্ত গ্রাবরেখা ।
- প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমিরূপের যে পরিবর্তন সাধিত হয় , তাদের কী বলে ?
Ans: ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ।
- কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমিরূপের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে ?
Ans: আরোহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ।
- পর্বতের ঢাল বরাবর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা শিলাস্তর নীচে নেমে এলে তাকে কী বলে ?
Ans: পুঞ্ছিত ক্ষয়
- যে বহির্জাত শক্তি ( সূর্য , নদীপ্রবাহ , হিমবাহ , বায়ু প্রভৃতি ) দ্বারা ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটে , তাকে কী বলে ?
Ans: বহির্জাত প্রক্রিয়া ।
- অবরোহণ প্রক্রিয়াকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ?
Ans: তিনটি ভাগে ( আবহবিকার , পুঞ্ছিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবন ) ।
- আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান দ্বারা শিলা চূর্ণবিচূর্ণ ও বিয়োজিত হলে তাকে কী বলে ? Ans: অবহবিকার ।
- কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমিরূপের উচ্চতা হ্রাস পেয়ে থাকে ?
Ans: অবরোহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ।
- কোনো উচ্চভূমি বা পর্বত থেকে বরফগলা জল কিংবা বৃষ্টির জল ভূমির ঢাল বেয়ে কোনো সাগর , মহাসাগর বা হ্রদে গিয়ে মেশে , একে কী বলে ?
Ans: নদী ।
- যেসব ছোটো নদী কোনো মূলনদী বা প্রধান নদীর সাথে মিলিত হয় , তাকে কী বলে ?
Ans: উপনদী ।
- যেসব ছোটো নদী প্রধান নদী থেকে বেরিয়ে এসে কোনো সাগর বা কোনো নদীতে পড়ে , তাকে কী বলে ?
Ans: শাখানদী ।
- যখন কোনো একটি প্রধান নদী ও তার উপনদীসমূহ পর্বত ও মালভূমির যেসকল অঞ্চল থেকে জল নিয়ে এসে পড়ে সেই অঞ্চলকে কী বলে ?
Ans: ধারণ অববাহিকা ।
- নদী যখন সমভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন কোনো স্থানে বাধা পেয়ে এঁকেবেঁকে অগ্রসর হয় , তাকে কী বলে ?
Ans: নদীবাঁক ।
- পাশাপাশি অবস্থিত নদী অববাহিকাকে যে উচ্চভূমি পৃথক বা আলাদা করে , তাকে কী বলে ?
Ans: জলবিভাজিকা ।
- সমপ্রায়ভূমিতে কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত অবশিষ্ট পাহাড়গুলিকে কী বলে ?
Ans: মোনাডনক ।
- কার্য অনুসারে নদীপ্রবাহকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ?
Ans: তিনটি ভাগে ( ক্ষয় , বহন ও সঞ্চয় ।
- পার্বত্য অঞ্চলের গভীর ও সংকীর্ণ নদী উপত্যকাকে কী বলে ?
Ans: ক্যানিয়ন ।
- পার্বত্য অঞ্চলে নদীর জলের দ্বারা বাহিত নুড়ি , বালি , পাথরের দ্বারা অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় নদীখাতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যে গোলাকার গর্তের সৃষ্টি হয় , তাকে কী বলে ?
Ans: মন্থকূপ বলে ।
- একই নদীতে অবস্থানরত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলপ্রপাতকে কী বলে ?
Ans: কাসকেড
- উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে যে সীমারেখার উর্ধ্বে তুষার জমে থাকে কিংবা গলে যায় , সেই সীমারেখাকে কী বলে ?
Ans: হিমরেখা ।
- কোনো নদীর জল দ্বিগুণ হলে তার বহনক্ষমতাও দ্বিগুণ বাড়ে , কিন্তু ওই নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ হলে বহনক্ষমতা 26 বা 64 গুণ বেড়ে যায় , একে কী বলে ?
Ans: নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র ।
- বন্যার ফলে নদীর উভয় তীরে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম নুড়ি , বালি , পলি , কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে যে নতুন ভূমির সৃষ্টি হয় , তাকে কী বলে ?
Ans: প্লাবনভূমি ।
- নদীর উপকূলবর্তী অঞ্চলে বন্যার ফলে নুড়ি , বালি , কাঁকর , কাদা , পলি প্রভৃতি ধীরে ধীরে সঞ্চিত হয়ে যে উঁচু বাঁধের সৃষ্টি করে , তাকে কী বলে ?
Ans: স্বাভাবিক বাঁধ ।
- নদীর মোহনায় জলের স্রোত কম হওয়ায় নদীবাহিত নুড়ি , বালি , কাদা , পলি প্রভৃতি ঐ অঞ্চলে সঞ্চিত হয়ে ত্রিকোণাকার যে দ্বীপের সৃষ্টি করে , তাকে কী বলে ?
Ans: ব – দ্বীপ ।
- সমুদ্রজলে বিশালাকৃতির ভাসমান বরফের স্তূপকে কী বলে ?
Ans: হিমশৈল ।
- করির পেছনে মস্তক দেওয়াল ও হিমবাহের মধ্যে যে ফাঁক দেখা যায় , তাকে কী বলে ?
Ans: র্যান্ডক্লাফট ।
- প্রবহমাণ হিমবাহের চাপে ছোটো ছোটো শিলাখণ্ড যখন পর্বতগাত্র হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে , তখন তাকে কী বলে ?
Ans: উৎপাটন প্রক্রিয়া ।
- হিমবাহ উপত্যকা ও হিমবাহের ঘর্ষণে যে ক্ষয় সাধিত হয় , তাকে কী বলে ?
Ans: অবঘর্ষ প্রক্রিয়া ।
- পাশাপাশি অবস্থিত দু’টি করির বা সার্কের মাঝখানের খাড়া অংশটিকে কী বলে ?
Ans: অ্যারেট বা হিমশিরা ।
- নদীমোহনা খুব প্রশস্ত হলে তাকে কী বলে ?
Ans: খাড়ি ।
- বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা পর্বত , মালভূমি , পাহাড় প্রভৃতি ক্ষয় পেয়ে সমভূমিতে পরিণত হয় , এই প্রকার ভূমিকে কী বলে ?
Ans: সমপ্ৰায়ভূমি ।
- উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সাথে সাথে নুড়ি , বালি , পাথর , শিলাচূর্ণ প্রভৃতি স্তূপাকারে জমা হয়ে নীচের দিকে এগিয়ে চলে , এই শিলাস্তূপকে কী বলে ?
Ans: গ্রাবরেখা বা সোরেন ।
- ক্ষয়কার্যের ফলে পর্বতের গায়ে যখন বিভিন্ন দিক থেকে তিন – চারটি সার্কের সৃষ্টি হয় , তখন তার মাঝখানে যে খাড়া চূড়াটি লক্ষ করা যায় তাকে কী বলে ?
Ans: পিরামিড চূড়া ।
- হিমবাহের ক্রমাগত ক্ষয়কার্যের ফলে যেসব আড়াআড়ি পাড় কাটা পড়ে যায় । তাদের কী বলে ?
Ans: কর্তিত পাড় ।
- পর্বতের খাড়া ঢাল বেয়ে হিমবাহ যখন নীচের দিকে নেমে আসে তখন পর্বতগাত্রে ফাটলের সৃষ্টি হয় , এগুলিকে কী বলে ?
Ans: বাগমুন্ড ।
- পর্বতের পাদদেশে নুড়ি , বালি , প্রস্তরখণ্ড প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে ওলটানো চামচের মতো আকৃতিবিশিষ্ট যে টিলা সৃষ্টি হয় তাকে কী বলে ?
Ans: ড্রামলিন ।
- হিমবাহবাহিত নুড়ি , বালি , কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে যে ত্রিকোণাকার দ্বীপের ন্যায় ভূমিরূপ গঠন করে , তাকে কী বলে ?
Ans: কেম ।
- বায়ুর গতির সমান্তরালে যেসব বালিয়াড়ি গঠিত হয় তাদের কী বলে ?
Ans: অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি ।
- পলি , কাদা , নুড়ি প্রভৃতি পদার্থ কীভাবে প্রবাহিত হয় ?
Ans: ভাসমান প্রক্রিয়ায় ।
- পৃথিবীর কোথায় লোয়েস সমভূমি লক্ষ করা যায় ?
Ans: হোয়াংহো নদীর অববাহিকায় ।
- বায়ুপ্রবাহের গতিপথের সঙ্গে সমান্তরালভাবে দীর্ঘ ও সংকীর্ণ হয়ে যে বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে , তাকে কী বলে ?
Ans: সিফ বালিয়াড়ি ।
- মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের গতিপথের সঙ্গে তির্যক বা আড়াআড়িভাবে অর্ধচন্দ্রাকার যে বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে তাকে কী বলে ?
Ans: বাখান ।
- মরু অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার সম্মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট মৃদু ও ঢালবিশিষ্ট প্রস্তরময় ভূমিরূপকে কী বলে ?
Ans: পেডিমেন্ট ।
- মরু অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশে পেডিমেন্টের নীচে অবনমিত অঞ্চলে নুড়ি , বালি , কাঁকর প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমি গঠন করে , তাকে কী বলে ?
Ans: বাজাদা ।
- মরুভূমির অবনমিত অঞ্চলে সাময়িক বৃষ্টিপাতের ফলে জল জমা হয়ে যে লবণাক্ত হ্রদের সৃষ্টি হয় , তাকে কী বলে ?
Ans: প্লায়া ।
- মরুভূমি অঞ্চলে সাময়িক বৃষ্টিপাতের দ্বারা যে নদীখাতের সৃষ্টি হয় , তাকে কী বলে ?
Ans: ওয়াদি ।
- অতি সূক্ষ্ম বালুকণা , মাটির কণা বায়ুর দ্বারা পরিবাহিত হয়ে কোনো নীচু স্থানে জমা হয়ে যে সমভূমি গঠন করে , তাকে কী বলে ?
Ans: লোয়েস সমভূমি ।
- মরুভূমিতে বিশাল অঞ্চল জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে বায়ুর দ্বারা বালি অপসারিত হলে সেই অঞ্চল ক্রমশ নীচু হয়ে ভূগর্ভের জলস্তর পর্যন্ত পৌঁছায় , এইরূপ অবস্থাকে কী বলে ?
Ans: মরুদ্যান ।
- পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ উপত্যকা ও নদী উপত্যকার আকৃতি কীরূপ প্রকৃতির ?
Ans: হিমবাহ উপত্যকা ‘ U ‘ অক্ষরের ন্যায় এবং নদী উপত্যকার আকৃতি ‘ I ‘ কিংবা ‘ V ’ অক্ষরের ন্যায় হয় ।
- নদীর কোন প্রবাহে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয় ?
Ans: পার্বত্য প্রবাহে ।
- গঙ্গা নদীর পার্বত্য প্রবাহ কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ?
Ans: গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত বিস্তৃত ।
- নদীর গতিপথের কোন অংশে সঞ্চয়কার্য বেশি হয় ?
Ans: নিম্নগতিতে ।
- আহরণ ক্ষেত্র কাকে বলে ?
Ans: কোনো একটি প্রধান নদী ও তার বিভিন্ন উপনদী যেসব অঞ্চলের জল সংগ্রহ করে সেইসব অঞ্চলকে একত্রে প্রধান নদীর আহরণ ক্ষেত্র বলে ।
- কোন কোন অঞ্চলে বালিয়াড়ি লক্ষ করা যায় ?
Ans: উস্ল মরু অঞ্চলে , শুষ্ক অঞ্চলে এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে ।
- বায়ু কয়টি পদ্ধতিতে কার্য করে থাকে ? তিনটি পদ্ধতিতে ।
Ans: যথা— ক্ষয়সাধন , অপসারণ ও অধঃক্ষেপণ ।
- সয়কার্য হয়ে থাকে নদীর কোন গতিপথে ?
Ans: নিম্নগতিতে ।
- পার্বত্য অঞ্চলে নদীর প্রধান কাজ কী ?
Ans: ক্ষয় ।
- নদীতে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনফুট জল প্রবাহিত হয় , তাকে কী বলে ?
Ans: কিউসেক ।
- নদীতে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনমিটার জল প্রবাহিত হয় , তাকে কী বলে ?
Ans: কিউমেক । খাড়া পাড় বা অবতল পাড় ।
- পৃথিবীর বৃহত্তম ব – দ্বীপের নাম কী ? নদীর স্রোতের আঘাতে নদীবাঁকের পাড় ভেঙে গিয়ে ডাঙার দিকে ঢুকে যায় , তাকে কী বলে ?
Ans: গঙ্গা – ব্রহ্মপুত্র ।
- পাখির পায়ের মতো ব – দ্বীপ কোথায় লক্ষ করা যায় ?
Ans: কৃষ্ণা, মিসিসিপি – মিসৌরি ব – দ্বীপ ।
- নদীবাকের যে দিকের পাড় নদীর দিকে এগিয়ে যায় , সেই পাড়কে কী বলে ?
Ans: উত্তল বা ঢালু পাড় ।
- পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহের নাম কী ?
Ans: ল্যামবার্ড ।
- পৃথিবীর বৃহত্তম পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহের নাম কী ?
Ans: আলাস্কার হুবার্ড ।
- ভারতের দীর্ঘতম পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহের নাম কী ?
Ans: কারাকোরাম পবর্তের সিয়াচেন ।
- পৃথিবীর বৃহত্তম পাদদেশীয় হিমবাহের নাম কী ?
Ans: আলাস্কার ম্যালাসপিনা ।
- রাজস্থানের থর মরুভূমিতে চলমান বালিয়াড়িকে কী বলা হয় ?
Ans: থ্রিয়ান ।
- সমুদ্র উপকূল অঞ্চলে স্বল্প দীর্ঘ সংকীর্ণ অংশ যার মধ্যে জোয়ারের জল প্রবেশ করে , আবার ভাটার সময় খালি হয়ে যায় তাকে কী বলে ?
Ans: খাঁড়ি ।
- বালুকাময় মরুভূমিকে সাহারায় আর্গ , তুরস্কে কী বলে ?
Ans: কুম ।
- মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে যখন হিমবাহ অবস্থান করে তখন তাকে কী বলে ?
Ans: মহাদেশীয় হিমবাহ ।
- উপত্যকা হিমবাহ যখন নীচে নামতে নামতে পর্বতের পাদদেশে বিস্তৃত হয় তখন তাকে কী বলে ?
Ans: পাদদেশীয় হিমবাহ ।
- হিমবাহের উপরিপৃষ্ঠে দারণের মতো সৃষ্ট ফাটলগুলিকে কী বলে ?
Ans: ক্রেভাস ।
- শিলাময় মরুভূমিকে সাহারায় হামাদা , আলজেরিয়ায় রেগ ; মিশর ও লিবিয়ায় কী বলে ?
Ans: সেরাব ।
- জলপ্রপাত সিঁড়ির মতো ধাপযুক্ত হলে তাকে কী বলে ?
Ans: ক্যাসকেড ।
- সমুদ্র জলতল বৃদ্ধির কারণ কী ?
Ans: বিশ্ব উন্নায়ন ।
- সুন্দরবনকে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ হিসেবে কত সালে ঘোষণা করা হয়েছে ?
Ans: ১৯৮৯ সালে ।
- বিশ্ব উন্নায়নের প্রভাবে যে দ্বীপগুলি ডুবে যাচ্ছে তাদের নামগুলি কী ?
Ans: ঘোড়ামারা , লোহাচড়া , নিউমুর বা পূর্বাশা দ্বীপ প্রভৃতি ।
- ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যে দ্বীপটি জেগে ওঠে তার নাম কী ?
Ans: নিউমুর ।
- ‘ ডিম ভরতি ঝুড়ি ‘ ভূমিরূপ কাকে বলা হয় ?
Ans: ড্রামলিনকে ।
- সার্কের মধ্যবর্তী শৈলশিরাকে কী বলে ?
Ans: এরিটি ।
- বহিঃবিধৌত সমভূমির মাঝে মাঝে সৃষ্ট ঢিবি ও গর্তগুলিকে কী বলে ?
Ans: নব ও কেটল ।
- হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে আঁকাবাঁকা শৈলশিরার মতো যে ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় তাকে কী বলে ?
Ans: এস্কার ।
- হিমবাহের দ্বারা সঞ্চিত বড়ো বড়ো শিলাখণ্ডকে কী বলে ?
Ans: ইরাটিক ।
- পৃথিবীর বৃহত্তম স্বাদুজলের উৎস কী ?
Ans: হিমবাহ ।
- বহিঃবিধৌত সমভূমি সৃষ্টি হয় কার ফলে ?
Ans: হিমবাহ ও জলধারার কার্যের ফলে ।
- মরু অঞ্চলে শুষ্ক নদীখাতকে কী বলা হয় ?
Ans: ওয়াদি ।
- মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলের লবণাক্ত জলের হ্রদকে কী বলে ?
Ans: প্লায়া ।
- Cockscomb ভূমিরূপ কাকে বলা হয় ?
Ans: ইয়ার্দাং
- মাশরুম রকস কাকে বলা হয় ?
Ans: গৌর ।
- ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত কোন নদীর উপর সৃষ্টি হয়েছে ?
Ans: জাম্বেসি ।
- হিমসিঁড়িতে জল জমে সৃষ্ট হ্রদকে কী বলে ?
Ans: প্যাটারনস্টার হ্রদ ।
- কোন দেশকে বলা হয় ফিয়র্ডের দেশ বা Land of Fiord’s ?
Ans: নরওয়েকে ।
- পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীখাঁড়ির নাম কী ?
Ans: নদীর খাঁড়ি ।
- পৃথিবীর দীর্ঘতম নদ / নদীর নাম কী ?
Ans: নীলনদ ।
- কেরালার মালাবার উপকূলের বালিয়াড়িকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে ?
Ans: চৌরিস ।
- কোন নদীর ব – দ্বীপ করাতের দাঁতের মতো ?
Ans: ইতালির তাইবা নদীর ব – দ্বীপ ।
- নদী উপত্যকার প্রবাহ পথ কোনো রেখার দ্বারা তুলে ধরলে যে রেখাচিত্রটি পাওয়া যায় তাকে কী বলে ?
Ans: নদীর পার্শ্বচিত্র ।
বহির্জাত শক্তি ও প্রক্রিয়া কী ?
Ans: যেসব প্রাকৃতিক শক্তি ভূপৃষ্ঠের ওপর প্রতিনিয়ত কাজ করে তাকে বহির্জাত শক্তি বলে । যেমন — নদী , সমুদ্রতরঙ্গ ইত্যাদি । যেসব প্রাকৃতিক শক্তি ভূপৃষ্ঠের ওপর ক্ষয় , পরিবহণ ও সঞ্চয়ের কাজ করে , সেই পদ্ধতিকে বহির্জাত প্রক্রিয়া বলে । যেমন — নদীর কাজ , হিমবাহের কাজ , বায়ুর কাজ ইত্যাদি ।
বহির্জাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য কী কী ?
Ans: বহির্জাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি হলো— এই প্রক্রিয়া সাধারণত ভূপৃষ্ঠের ওপর কাজ করে । ও এই প্রক্রিয়া ভূপৃষ্ঠের ওপর অনুভূমিকভাবে কাজ করে । এই প্রক্রিয়ার প্রধান উৎস হলো নদী , হিমবাহ , উন্নতা , বৃষ্টিপাত ইত্যাদি । এই প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠের উঁচু স্থানে ক্ষয় এবং নিম্ন স্থানে সঞ্চয় ঘটে ।
পর্যায়ন কাকে বলে ?
বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি যথা— নদী , হিমবাহ , বায়ু , সমুদ্রতরঙ্গ প্রভৃতির দ্বারা ক্ষয় , পরিবরহণ ও সঞ্চয়কার্যের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের যে সামঞ্জস্য বজায় রাখে তাকে পর্যায়ন বলে ।
অবরোহণ কাকে বলে ?
Ans: যেসব প্রাকৃতিক শক্তি যথা ― নদী , হিমবাহ , বায়ু ভূপৃষ্ঠের উচু স্থানগুলিকে ক্ষয় করে সমতল ভূমিতে পরিণত করে , তাকে ক্ষয়সাধন বা অবরোহণ বলে ।
আরোহণ কাকে বলে ?
Ans: যেসব প্রাকৃতিক শক্তি যথা― নদী , হিমবাহ , বায়ু , সমুদ্রতরঙ্গ প্রভৃতির দ্বারা ভূপৃষ্ঠের নীচু স্থানগুলির সঞ্চয় প্রক্রিয়ায় উচ্চতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় , তাকে সঞয়সাধন বা আরোহণ বলে ।
আবহবিকার কাকে বলে ?
Ans: আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যথা — উন্নতা , আর্দ্রতা , বৃষ্টিপাত প্রভৃতির দ্বারা করে বলে একে বিচূর্ণীভবনও বলা হয় । ভূপৃষ্ঠের ওপরে অবস্থিত শিলার বিয়োজনকে বলা হয় আবহবিকার ।
শিলাকে চূর্ণবিচূর্ণ যান্ত্রিক ও রাসায়নিক আবহবিকার কী ?
Ans: আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান দ্বারা শিলার বিয়োজন বা ভাঙনকে যান্ত্রিক আবহবিকার বলে । আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান ছাড়া গ্যাসীয় উপাদান যথা — অক্সিজেন , কার্বন ডাই – অক্সাইড প্রভৃতির দ্বারা শিলার বিয়োজন বা ভাঙনকে রাসায়নিক আবহবিকার বলে ।
ক্ষয়ীভবন কাকে বলে ?
Ans: বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা উৎপত্তিস্থল থেকে অন্যত্র ক্ষয়িত পদার্থ পরিবাহিত হয়ে ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা হ্রাস পায় এবং ক্ষয়ের শেষ সীমায় এসে উপনীত হয় , তাকে ক্ষয়ীভবন বলে ।
নগ্নীভবন কাকে বলে ?
Ans: বহির্জাত প্রক্রিয়ায় আবহবিকার , পুঞ্ছিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবন পদ্ধতির যৌথ প্রক্রিয়ায় শিলাস্তর বিচ্ছিন্ন হয়ে ভূমির উচ্চতা ক্রমশ হ্রাস পায় , তাকে নগ্নীভবন বলে । নগ্নীভবন আবহবিকার + পুঞ্জিত ক্ষয় + ক্ষয়ীভবন ।
জলচক্র কাকে বলে ?
Ans: পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল , শিলামণ্ডল ও বারিমণ্ডলে প্রতিনিয়ত চক্রাকার কঠিন , তরল ও গ্যাসীয় অবস্থার মধ্য দিয়ে জলের ভারসাম্য বজায় রাখার ঘটনাকে জলচক্র বলে ।
নদ ও নদী কী ?
Ans: স্বাভাবিক জলধারা অভিকর্ষ শক্তির টানে ভূমির ঢাল অনুসারে নীচের দিকে প্রবাহিত হয়ে কোনো জলাশয়ে মিলিত হলে তাকে নদী বলে । যেসব জলধারা পুরুষ নামে – ব্রহ্মপুত্র নদ , গঙ্গা নদী । পরিচিত তাদের নদ এবং যেসব জলধারা স্ত্রী নামে পরিচিত তাদের নদী বলে ।
নদী উপত্যকা ও নদী অববাহিকা কাকে বলে ?
Ans: নদীর উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত গতিপথের দু’পাশের দীর্ঘ ও সংকীর্ণ নিম্নভূমির মাঝ বরাবর যে জলধারা প্রবাহিত হয় তাকে নদী উপত্যকা বলে । আর প্রধান নদী তার উপনদী ও শাখাপ্রশাখা নিয়ে যে অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় , সেই অঞ্চলকে ঐ নদীর অববাহিকা বলে ।
ধারণ অববাহিকা কাকে বলে ?
Ans: যখন কোনো একটি প্রধান নদী ও তার উপনদীসমূহ পর্বত ও মালভূমির যেসকল অঞ্চল থেকে জল নিয়ে এসে প্রবাহিত হয় অর্থাৎ অসংখ্য উপনদী সহ প্রধান নদীর অববাহিকাকে ধারণ অববাহিকা বলে ।
জলবিভাজিকা কাকে বলে ?
Ans: পাশাপাশি অবস্থিত নদী অববাহিকাকে যে উচ্চভূমি ( পাহাড় , পর্বত ) পরস্পর থেকে আলাদা করে তাকে জলবিভাজিকা বলে । যেমন — মধ্য এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চল বিশ্বের বৃহত্তম জলবিভাজিকা ।
নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র কী ?
Ans: নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেলে তার বহনক্ষমতা 26 বা 64 গুণ বৃদ্ধি পায় । নদীর গতিবেগের সঙ্গে তার বহনক্ষমতার আনুপাতিক সম্পর্ককে নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র বলে ।
আদর্শ নদী কাকে বলে ?
Ans: যে নদীর গতিপথে উচ্চগতি , মধ্যগতি , নিম্নগতি এই তিনটি প্রবাহ সুস্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায় , তাকে আদর্শ নদী বলে । যেমন — গঙ্গা , সিন্ধু , নীল , আমাজন , মিসিসিপি নদী প্রভৃতি ।
ক্যানিয়ন কাকে বলে ?
Ans: শুষ্ক মরু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের অভাবে পার্শ্বক্ষয় একেবারে হয় না বললেই চলে । এই অঞ্চলে ‘ I ‘ আকৃতির নদী উপত্যকা অত্যন্ত গভীর ও সংকীর্ণ নলের মতো আকৃতিবিশিষ্ট হয় এই ভূমিরূপকে ক্যানিয়ন বলে । যেমন— গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ।
খরস্রোত কাকে বলে ?
Ans: নদীর গতিপথে কোথাও কোথাও কঠিন ও কোমল শিলা উল্লম্বভাবে অবস্থান করলে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে কোমল শিলা ক্ষয় পেয়ে সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে নেমে আসে । এই সিঁড়িগুলিতে ছোটো ছোটো জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয় এগুলিকে বলা হয় খরস্রোত । ক্ষুদ্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের জলপ্রপাতকে র্যাপিড বলে ।
প্রপাতকূপ কাকে বলে ?
Ans: জলপ্রপাতের পাদদেশে প্রবল জলস্রোত ও প্রস্তরখণ্ডের আঘাতে বুদ বুদ ক্ষয়ের মাধ্যমে যে কূপের মতো গর্তের সৃষ্টি হয় তাকে প্রপাতকূপ বা প্রাপুল বলে ।
খাড়ি , ব – দ্বীপ কাকে বলে ?
Ans: নদীর নিম্নগতিতে ব – দ্বীপহীন প্রশস্ত নদীমোহনাকে খাড়ি বলে । নদীবাহিত বিভিন্ন পদার্থ মোহনায় সঞ্চিত হয়ে মাত্রাহীন ব – এর মতো যে ভূমিরুপ গঠিত হয় তাকে ব – দ্বীপ বলে ।
ক্রেভাস ও বার্গমুন্ড কী ?
Ans: প্রবাহপথে হিমবাহের গায়ে সংকোচন ও প্রসারণের ফলে যে ফাটলের সৃষ্টি হয় তাকে ক্রেভাস বলে । পর্বত গাত্রে জমে থাকা বরফস্তূপ ও পার্বত্য হিমবাহের মধ্যে যে সংকীর্ণ ও গভীর ফাটল সৃষ্টি হয় , তাকে জার্মান ভাষায় বার্গমুন্ড বলে ।
ঝুলন্ত উপত্যকা কী ?
Ans: প্রধান নদীর সাথে ছোটো ছোটো উপনদী এসে যেমন মিলিত হয় , ঠিক সেইরূপ প্রধান হিমবাহের সাথে ছোটো ছোটো হিমবাহ মিলিত হতে থাকে । প্রধান হিমবাহ বৃহৎ হওয়ায় তার উপত্যকা ক্ষুদ্রাকার হিমবাহের উপত্যকা অপেক্ষা অধিক গভীর হয় । পরে এই উপত্যকা সরে গেলে ক্ষুদ্রাকার উপত্যকা হিমবাহ দেখে মনে হয় যেন প্রধান হিমবাহের উপর ঝুলছে । এইরূপ উপত্যকাকে ঝুলন্ত উপত্যকা বলে ।
কর্তিত শৈলশিরা কাকে বলে ?
Ans: হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে শৈলশিরাগুলির অগ্রভাগ কেটে খাড়া ঢালে পরিণত হলে তাদের কর্তিত শৈলশিরা বলে । হিমালয় , আল্পস প্রভৃতি পর্বতে লক্ষ করা যায় ।
হিমদ্রোণি কী ?
Ans: পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাটন ও অবঘর্ষণের প্রভাবে হিমবাহ উপত্যকার তলদেশ অত্যন্ত প্রশস্ত হয় এবং পার্শ্বদেশ মসৃণ এবং খাড়া ঢালযুক্ত হয় , এইরূপ উপত্যকাকে হিমদ্রোণি বলে ।
হিমবাহ কী ?
Ans: পর্বতগাত্রে তুষার জমে বিশালাকৃতির বরফের স্তূপ যখন বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অবস্থান করে এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ধীরে ধীরে নীচের দিকে নেমে আসে , তাকে হিমবাহ বলে ।
রসে মতানে কাকে বলে ?
Ans: হিমবাহ তার গতিপথে ক্ষয়কার্যের ফলে কঠিন শিলার বাধাকে অতিক্রম করলে হিমবাহের প্রবাহের দিক মসৃণ হয় এবং বিপরীত দিক অমসৃণ হয় । এইরূপ ভূমিরূপকে রসে মতানে বলে ।
ক্রাগ ও টেল কী ?
Ans: হিমবাহের গতিপথে কঠিন শিলাস্তূপের পেছনে নরম শিলাস্তর অবস্থান করলে হিমবাহের ক্ষয় থেকে রক্ষা পেয়ে টিলার মতো এই শিলা উঁচু হয়ে থাকে , একে ক্রাগ বলে । এর পেছনের কোমল শিলাকে টেল বলে ।
ফ্রিয়র্ড ও ফিয়ার্ড কী ?
Ans: বিশেষত সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে হিমবাহ তার উপত্যকাগুলিকে এত গভীরভাবে ক্ষয় করে যে সেগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নীচু হয়ে যায় এবং বরফ মুক্ত হলে পরে সমুদ্রের জলে ভরে যায় । হিমবাহ দ্বারা সৃষ্ট কিন্তু সমুদ্রের জলপূর্ণ এইরূপ উপত্যকাকে ফিয়র্ড বলে । অগভীর ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ফিয়র্ডকে ফিয়ার্ড বলে ।
এস্কার ও কেম কাকে বলে ?
Ans: হিমবাহের তলদেশে নুড়ি পাথর , বালি , কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে গঠিত আঁকাবাঁকা সংকীর্ণ শৈলশিরাকে বলা হয় এস্কার । হিমবাহবাহিত নুড়ি , বালি , কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে যে ত্রিকোণাকার দ্বীপের ন্যায় ভূমিরূপ গঠন করে তাকে কেম বলে ।
নদীর ক্ষয়সীমা কাকে বলে ?
Ans: সমুদ্রজলের উচ্চসীমাকে সমুদ্রতল হিসেবে ধরা হয় । সমুদ্রে পতিত নদী সর্বদাই এই সমুদ্রতলের সঙ্গে সমতা বজায় রেখে ক্ষয়কার্য করে থাকে অর্থাৎ নদী যে উচ্চতার নীচে আর নিম্নক্ষয় করে না , তাকে নদীর ক্ষয়ের শেষ সীমা বলে ।
স্বাভাবিক বাঁধ বা লেভি কাকে বলে ?
Ans: নদীর সমভূমি প্রবাহে বন্যার ফলে কোনো কোনো অঞ্চলে নদীর তীর বরাবর নুড়ি , বালি , কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে যে উঁচু বাঁধের সৃষ্টি হয় , তাকে স্বাভাবিক বাঁধ বলে ।
হিমানী সম্প্রপাত কাকে বলে ?
Ans: কখনো কখনো ভূমিঢালের দরুন গতিশীল হিমবাহ থেকে বিশালাকার বরফস্তূপ ভেঙে অতিদ্রুত নীচে নেমে আসে , একেই হিমানী সম্প্রপাত বলে ।
গ্রাবরেখা কাকে বলে ?
Ans: উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে হিমবাহ নুড়ি , বালি , কাকড় , কাদা , পলি প্রভৃতি সহ স্তূপাকারে নীচের দিকে এগিয়ে চলে , এই শিলাস্তূপকে বলা হয় গ্রাবরেখা বা মোরেন ।
কেটল এবং কেটল হ্রদ কাকে বলে ? বহিঃবিধৌত সমভূমিতে অনেকসময় বরফের টুকরো থেকে যায় । পরবর্তীতে সেই বরফের টুকরোগুলি গলে গেলে অঞ্চলটি গর্তরূপে অবস্থান করে । এ জাতীয় গর্তকে কেটল হ্রদ । বলা হয় কেটল । আবার কেটলগুলি জলপূর্ণ হয়ে যে হ্রদের সৃষ্টি করে , তাকে বলা হয় ।
এরিটি কী ?
Ans: হিমবাহের ঘর্ষণের ফলে সৃষ্টি হওয়া পাশাপাশি দু’টি সার্ক – এর মাঝখানে যে খাড়াই শৈলশিরা অবস্থান করে , তাকে এরিটি বলে ।
পিড়ামিড চূড়া কাকে বলে ?
Ans: পর্বতের গায়ে ক্রমাগত ক্ষয়কার্যের ফলে যখন বিভিন্ন দিক থেকে তিন – চারটি সার্কের সৃষ্টি হয় তখন তার মাঝখানের খাড়াই চূড়াটি পিরামিডের মতো আকৃতিবিশিষ্ট হয় । এইভাবে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট পিরামিডের মতো আকৃতিবিশিষ্ট পর্বত চূড়াকে পিরামিড চূড়া বলে ।
নুনাটাক কাকে বলে ?
Ans: মহাদেশীয় হিমবাহের মধ্যে মাঝে মাঝে বিশেষ করে প্রান্তভাগের দিকে যেখানে বরফের স্তর খুব একটা পুরু থাকে না সেখানে কিছু কিছু পাহাড়ের অংশ বরফমুক্ত অবস্থায় জেগে থাকে । এইরূপ হিমবাহের মধ্যে বরফমুক্ত উচ্চভাগকে এস্কিমো ভাষায় নুনাটাক বলে ।
অপসারণ গর্ত কী ?
Ans: মরু অঞ্চলে বায়ুর অপসারণ কার্যের ফলে বালুকণা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে গেলে কালক্রমে সেখানে অবনত স্থানের সৃষ্টি হয় । এই অবনমিত স্থান গভীর গরে রূপ নিলে তাকে অপসারণ গর্ত বলে ।
মরুদ্যান বা Oasis কাকে বলে ?
Ans: মরু অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে অপসারণ ক্ষয়কার্যের ফলে অবনমিত স্থানের সৃষ্টি হলে সেই অবনমিত স্থানে জল জমে যে হ্রদের সৃষ্টি হয় , তাকে মরুদ্যান বা Oasis বলে ।

