অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | হারিয়ে যাওয়া কালি কলম (প্রবন্ধ) SAQ প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Hariya Jawa Kali Kolom Short Question and Answer :
NOOB
পকেটমাররা এখন আর কলম নিয়ে হাত সাফাইয়ের খেলা দেখায় না কেন ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থর মতে কলম এখন এতই সস্তা এবং সর্বভোগ্য হয়ে গেছে যে , পকেটমাররাও আর তা নিয়ে হাত সাফাইয়ের খেলা দেখায় না ।
‘ রিজার্ভার পেন ‘ কী ?
Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনা অনুসারে আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল ‘ রিজার্ভার পেন ‘ । লুই ওয়াটারম্যান তাকেই অনেক উন্নত করে ফাউন্টেন পেন তৈরি করেন ।
‘ কিন্তু সেসব ফাঁকি মাত্র।- তাৎপর্য লেখো ।
Ans: পালক কলম অর্থাৎ কুইল এবং দোয়াত কলমের পরিবর্তে অফিসে ছদ্মবেশী বল – পেন সাজানো থাকে , যাকে লেখক বলেছেন ‘ ফাকি মাত্র ’ ।
‘ আমি যদি হতাম স্বয়ং জুলিয়াস সিজার – তাহলে কী হত ?
Ans: লেখক শ্রীপান্থ কল্পনা করেছেন তিনি জুলিয়াস সিজার হলে শ্রেষ্ঠ কারিগরেরা তাঁর হাতে বড়োজোর একটা স্টাইলাস নামের ব্রোঞ্জের শলাকা তুলে দিত , এর বেশি কিছু নয় ।
‘ আমরা এতকিছু আয়োজন কোথায় পাব ? – ‘ এতকিছু আয়োজন ‘ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
Ans: ভালো কালি তৈরি করতে তিল , ত্রিফলা ও শিমুলের । ছাগলের দুধে ফেলে লোহার পাত্রে রেখে , আর একটি লোহার খুক্তি দিয়ে ঘষে কালি বানাতে হত । এখানে এই আয়োজনের কথাই বলা হয়েছে ।
‘ ফাউন্টেন পেনের এক বিপদ — বিপদটি কী ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনা অনুসারে ফাউন্টেন পেনের এক বিপদ হল তা লেখককে নেশাগ্রস্ত করে । লেখক পয়সাওয়ালা হলে তাঁকে দামি কলম সংগ্রহের নেশায় পেয়ে বসে ।
‘ এত বছর পরে সেই কলম যখন হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম— কলম হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম কেন ?
Ans: শ্রীপান্থের মতে ফাউন্টেন , বল – পেন কিংবা ডট – পেনের বহুল প্রচলনের ফলে বাঁশের কলম আজ হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম ।
গোরু খেয়ে নিলে অমঙ্গল / – গোরু কী খেয়ে নিলে অমঙ্গল এবং সেই অমঙ্গল এড়ানোর জন্য কী করা হত ।
Ans: যে – কলাপাতায় লেখকরা ছোটোবেলায় হোমটাস্ক করতেন , সেগুলি বাইরে ফেললে যদি গোরু খেয়ে নেয় , তবে অমঙ্গল হতে পারে । অমঙ্গল এড়াতে সেগুলো পুকুরে ফেলে দেওয়া হত ।
‘ আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই কালি তৈরির পদ্ধতিটি কীরুপ ছিল ?
অথবা , লেখকেরা কীভাবে সহজ পদ্ধতিতে কালি তৈরি করতেন ?
Ans: কড়াইয়ের ভুসো কালি জলে গুলে তাতে হরীতকী ঘষে বা আতপ চাল পোড়া মিশিয়ে , সবশেষে খুস্তিকে লাল করে পুড়িয়ে সেই জলে ছাঁকা দিয়ে কালি তৈরি হত ।
‘ দোয়াত মানে মাটির দোয়াত ।— ‘ দোয়াত ‘ বলতে কী বোঝায় ?
Ans: ‘ দোয়াত ’ হল কালি রাখার পাত্র । ছোটোবেলায় কালি তৈরির পর ন্যাকড়ায় হেঁকে লেখকরা মাটির দোয়াতে ঢেলে রাখতেন । দোয়াত মাটি ছাড়াও কাচ ও অন্যান্য ধাতুর হত ।
প্রাচীনদের কালি তৈরি প্রসঙ্গে অভিমত কী ছিল ?
Ans: প্রাচীনেরা তিল , ত্রিফলা আর শিমুল ছাল ছাগলের দুধে ফেলে লোহার পাত্রে রেখে অন্য একটি লোহার খুন্তি দিয়ে উপকরণগুলি ঘষে কালি বানাতেন ।
লেখক ভারতে না – জন্মে যদি প্রাচীন মিশরে জন্মাতেন । তবে কী করতেন ?
Ans: লেখক যদি ভারতে না – জন্মে প্রাচীন মিশরে জন্মাতেন তবে , নীলনদের তীর থেকে নলখাগড়া ভেঙে সেটাকে ভোঁতা করে তুলি কিংবা ছুঁচোলো করে কলম বানাতেন ।
একদিন যদি কোনও কারণে কলম নিয়ে যেতে ভুলে যাই তবেই বিপদ । — কী ধরনের বিপদের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: লেখক শ্রীপাস্থের অফিসে তিনি ছাড়া সকলেই কম্পিউটারে লিখতেন । কলম নিতে ভুলে গেলে কলম পাওয়া ভার ছিল । আর পেলেও তাতে তিনি লিখে সুখ পেতেন না ।
‘ দায়সারা ভাবে কোনও মতে সেদিনকার মতো কাজ সারতে হয় । বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী ?
Ans: লেখক অফিসে কলম নিয়ে না – এলে সেদিন তাঁর লেখায় ব্যাঘাত ঘটত । চেষ্টা করে যদিও বা ভোঁতামুখ একখানি কলম জুটত , তাতে লিখে সুখ পেতেন না । লেখক কাজটি তখন দায়সারাভাবে সারতেন ।
‘ কালগুণে বুঝি বা আজ আমরাও তা – ই’— বক্তব্যটি প্রশ্ন পরিস্ফুট করো ।
Ans: লেখকের লেখালেখির অফিস , অথচ কলম নেই । তাই ‘ কালি নেই , কলম নেই , বলে আমি মুনশি ‘ প্রবাদটির মাধ্যমে তিনি বলতে চেয়েছেন আমরাও যেন তা অনুসরণ করছি ।
‘ বড়োরা শিখিয়ে দিয়েছিলেন , ‘ — বড়োরা কী শিখিয়ে দিয়েছিলেন ?
Ans: লেখকরা ছোটোবেলায় বাঁশের কঞ্চি দিয়ে কলম বানাতেন । বড়োরা তখন কলমের মুখটা সরু করার সঙ্গে সঙ্গে চিরে দেওয়ার কথাও শিখিয়ে দিতেন , কালি যাতে চুইয়ে পড়ে ।
‘ যার পোশাকি নাম স্টাইলাস’— ‘ স্টাইলাস ‘ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
Ans: রোম সাম্রাজ্যের অধীশ্বর জুলিয়াস সিজার যে – ব্রোঞ্জের শলাকা বা কলম ব্যবহার করতেন , তার পোশাকি নাম ছিল ‘ স্টাইলাস ‘ ।
‘ কুইল ড্রাইভারস ‘ কাদের বলা হত ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ’ প্রবন্ধ অনুসারে , পালকের কলমকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘ কুইল ‘ । লর্ড কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের গরম গরম ইংরেজি দেখে তাঁদের ‘ বাবু কুইল ড্রাইভারস ‘ আখ্যা দিয়েছিলেন ।
কালি তৈরির উৎকৃষ্ট পদ্ধতি সম্পর্কে প্রাচীনদের বলা ছড়া বা প্রচলিত প্রবাদটি উল্লেখ করো । অথবা , ‘ প্রাচীনেরা বলতেন — প্রাচীনেরা কী বলতেন ?
Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে উল্লিখিত প্রাচীনদের বলা ছড়াটি হল , “ তিল ত্রিফলা সিমুল ছালা / ছাগ দুগ্ধে করি মেলা / লৌহপাত্রে লৌহায় ঘসি / ছিঁড়ে পত্র না ছাড়ে মসি ।
‘ যন্ত্রযুগ সকলের দাবি মেটাতেই তৈরি / — কী ধরনের দাবির কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধ অনুসারে এক ফাউন্টেন পেন কোম্পানির বিজ্ঞাপনে ছিল গায়ক , স্টেনোগ্রাফার , লেখক প্রভৃতি বিভিন্ন পেশার মানুষদের জন্য তাদের সাতশো রকম নিবের বন্দোবস্ত রয়েছে । অর্থাৎ যন্ত্রযুগ সকলের চাহিদা পুরণের জন্যই প্রস্তুত এ কথাই লেখক বলেছেন ।
ক্যালিগ্রাফিস্ট কাদের বলে ?
Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ’ প্রবন্ধ অনুসারে মধ্যযুগে এবং তার পরবর্তীকালে যাঁরা ছিলেন ওস্তাদ কলমবাজ বা লিপিকুশলী , যে সমস্ত লিপিকরদের লেখা পুথি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় , তাদের বলা হত ক্যালিগ্রাফিস্ট ।
‘ বাংলায় একটা কথা চালু ছিল— কথাটি কী ?
Ans: পাঠ্য রচনা অনুসারে চালু কথাটি হল , ‘ কালি নেই , কলম নেই , বলে আমি মুনশি ।
‘ তখন মনে কষ্ট হয় বই কী ! — কখন মনে কষ্ট হয় ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনা অনুসারে লেখকদের প্রথম লেখালেখির সূত্রপাত ঘটেছিল বাঁশের কলম , মাটির দোয়াত , ঘরে তৈরি কালি আর কলাপাতায় । কিন্তু পরে সে – সমস্তই কালের নিয়মে হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হলে তার মনে এমন অনুভূতি হয়েছিল ।
‘ আর সেগুলি বান্ডিল করে নিয়ে যেতাম স্কুলে ।— ‘ সেগুলি বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: লেখকরা ছোটোবেলায় কলাপাতাকে কাগজের মতো করে কেটে তাতে স্কুলের কাজ করতেন । মাস্টারমশাইকে দেখানোর জন্য সেগুলি বান্ডিল করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে ।
‘ কলম সেদিন খুনিও হতে পারে বইকি ।’— বক্তব্যটি স্পষ্ট করো ।
Ans: খ্রিস্টের জন্মের আগে রোমের অধীশ্বর জুলিয়াস সিজার ব্রোঞ্চের কলম বা স্টাইলাস দিয়ে কাসকাকে আঘাত করেছিলেন । সে – কথাই এখানে বলা হয়েছে ।
‘ পালকের কলমও আর চোখে পড়ে না । ‘ –’হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধ থেকে পালকের কলম সম্পর্কে কী জানা যায় ? অথবা , কুইল কী ?
Ans: পালকের কলমের ইংরেজি নাম ‘ কুইল ’ । কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের ইংরেজি দেখে নাম দেন ‘ বাবু কুইল ড্রাইভারস ‘ । এখন এই ‘ কুইল ‘ কেবল পুরোনো দিনের ছবিতেই দেখা যায় ।
‘ যন্ত্রটা এক ধরনের পেনসিল সার্পনারের মতো । —কোন যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: পালককে কেটে কলম বানানোর জন্য সাহেবরা একটা ছোটো যন্ত্র বের করেছিলেন । যার মধ্যে পালক ঢুকিয়ে চাপ দিলেই তৈরি হয়ে যেত কলম , সেই কথাই বলা হয়েছে ।
কলম বিক্রি পেশা সম্পর্কে হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে লেখক কী বলেছেন ?
Ans: শ্রীপান্থ তাঁর প্রবন্ধে কলম বিক্রির পেশা সম্পর্কে এক বিদেশি সাংবাদিকের কথার প্রতিধ্বনি করে বলেছেন যে , ‘ চৌরঙ্গির ফুটপাতের প্রতি তিনজন বিক্রেতার একজন হলেন কলম বিক্রেতা ।
“ ও দিদি , আপনার খোঁপায় কলম । প্রসঙ্গটি বুঝিয়ে দাও ।
Ans: অনেক সময় ভিড় ট্রামে – বাসে যাতায়াত করতে গিয়ে কারও বুক পকেটে রাখা পেন আটকে যায় কোনো মহিলা যাত্রীর খোঁপায় । সেই প্রসঙ্গেই বক্তার এমন সরস মন্তব্য ।
‘ কলম তাদের কাছে অস্পৃশ্য । — কেন ?
Ans: বর্তমানে ডট – পেন বা বল – পেনের রমরমার যুগে কলম অত্যন্ত সত্তা ও সর্বভোগ্য হয়ে পড়েছে । পকেটমারদের কাছে তাই হাতসাফাইয়ের বস্তু হিসেবে কলম অস্পৃশ্য ।
‘ আবার তিনি ছুটলেন কালির সন্ধানে । — কে , কেন কালির সন্ধানে ছুটেছিলেন ?
Ans: ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কর্তা লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করার সময় দোয়াত উলটে সব কালি পড়ে যায় । তখন তিনি কালির সন্ধানে ছোটেন ।
‘ জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন। — ফাউন্টেন পেনের জন্মবৃত্তান্তটি উল্লেখ করো ।
Ans: লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান একবার এক চুক্তিপত্র সই করার সময় দোয়াত উলটে যাওয়ায় চুক্তি বাতিল হয়ে যায় । এরই বিহিত করতে তিনি ফাউন্টেন পেন আবিষ্কার করেন ।
লেখক কোথা থেকে তাঁর জীবনের প্রথম ফাউন্টেন পেনটি কিনেছিলেন ?
Ans: লেখক শ্রীপান্থ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বেশ কয়েক বছর পরে কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের এক নামি দোকান থেকে তাঁর জীবনের প্রথম ফাউন্টেন পেনটি কিনেছিলেন ।
পেনের নিব ঠিক আছে কিনা তা দোকানদার কীভাবে লেখককে দেখিয়েছিলেন ?
Ans: দোকানদার টেবিলের একপাশে দাঁড় করানো একটা কাঠের বোর্ডের ওপর কলমটা ছুড়ে দিলেন । তারপর সেটা খুলে নিয়ে লেখককে । দেখালেন যে , নিবটা অক্ষত আছে ।
এই নেশা পেয়েছি আমি শরৎদার কাছ থেকে । – কোন্ নেশার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে প্রবন্ধকার শ্রীপাখ শৈলজানন্দের ফাউন্টেন পেন সংগ্রহের নেশার কথা বলেছেন । তাঁর সংগ্রহে মূল্যবান কলম ছিল প্রায় দু – ডজন ।
লেখক হাই স্কুলে পড়ার সময় কী ধরনের কালি ব্যবহার করতেন ?
Ans: হাই স্কুলে পড়ার সময় লেখক লাল , নীল কালির ট্যাবলেট দিয়ে কালি বানাতেন । এ ছাড়া দোয়াতে আর বোতলে তৈরি কালিও পাওয়া যেত ।
‘ অবাক হয়ে সেদিন মনে মনে ভাবছিলাম / – লেখক কী ভাবছিলেন ?
Ans: সুভো ঠাকুরের বিখ্যাত দোয়াত সংগ্রহ দেখে লেখক শ্রীপাদ ভেবেছিলেন যে , শেকসপিয়র থেকে শুরু করে আমাদের শরত্চন্দ্র পর্যন্ত সাহিত্য ও ইতিহাসের বিখ্যাত চরিত্ররা সেইসব দোয়াত ব্যবহার করেই অমর সব রচনা লিখে গেছেন ।
‘ যন্ত্রযুগ সকলের দাবি মেটাতেই তৈরি । — কী ধরনের দাবির কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ফাউন্টেন পেনের বিজ্ঞাপনে ব্যক্তিবিশেষের চাহিদা ও পছন্দের কথা প্রসঙ্গে শ্রীপান্থের এই উক্তি । কোম্পানি বিভিন্ন শ্রেণির লেখকদের জন্য সাতশো রকমের নিব ও ধনীদের জন্য সোনায় গড়া হিরে বসানো কলমও তৈরি করেছিল ।
‘ কিন্তু ইতিহাসে ঠাই কিন্তু তার পাকা।— কার , কেন ইতিহাসে ঠাঁই পাকা ?
Ans: কম্পিউটারের যুগে কলমের সুদিনের অবসান হয়েছে । তবু ইতিহাসে কলমের স্থান পাকা । মোগল – সহ বিশ্বের সব দরবারেই লিপিকুশলীরা বিশেষভাবে সম্মানিত হয়ে এসেছেন এই কলম দিয়ে লিখেই ।
শ্রীপান্থের লেখা ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধটি থেকে আঠেরো শতকের লিপিকরদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে কী জানতে পারা যায় ?
Ans: অষ্টাদশ শতকে একজন লিপিকর চারখণ্ড রামায়ণ কপি করে পেয়েছিলেন নগদ সাত টাকা , কিছু কাপড় আর মিঠাই ।
‘ সম্ভবত শেষ পর্যন্ত নিবের কলমের মানমর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন একমাত্র সত্যজিৎ রায় । ‘ –এ কথার যৌক্তিকতা কতখানি ?
Ans: সত্যজিৎ রায়ের লিপিশিল্পের প্রতি আকর্ষণ সর্বজনবিদিত । তাঁর হস্তলিপির কুশলতা তাঁর অন্যান্য শিল্পকর্মের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত । তাই তিনিই কেবল নিবের কলমের মানমর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ।
মনে মনে সেই ফরাসি কবির মতো বলেছি — ফরাসি কবি কী বলেছিলেন ?
Ans: ফরাসি কবি বলেছিলেন— ‘ তুমি সবল , আমি দুর্বল । তুমি সাহসী , আমি ভীরু । তবু যদি তুমি আমাকে হত্যা করতে চাও , আচ্ছা , তবে তা – ই হোক । ধরে নাও আমি মৃত ।
‘ সেই আঘাতেরই পরিণতি নাকি তাঁর মৃত্যু । -কোন্ আঘাতের পরিণতির কথা বলা হয়েছে ।
Ans: বাংলা সাহিত্যে ‘ কঙ্কাবতী ’ ও ‘ ডমরুধর ’ – এর স্রষ্টা ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় নিজের হাতের কলম অসাবধানতাবশত বুকে বিঁধে মারা যান । সেই ঘটনার কথা বলা হয়েছে ।
‘ দোয়াত যে কত রকমের হতে পারে প্রবন্ধে কত রকমের দোয়াতের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কমল ‘ প্রবন্ধে লেখক মাটির , কাচের , কাট – গ্লাসের , পোর্সেলিনের , শ্বেতপাথরের , জেডের , পিতলের , ব্রোঞ্জের , ভেড়ার শিংয়ের ও সোনার তৈরি দোয়াতের কথা বলেছেন ।
লেখক শ্রীপান্থ ছোটোবেলায় কীসে ‘ হোম – টাস্ক ’ করতেন ?
Ans: লেখক শ্রীপান্থ ছোটোবেলায় কলাপাতা কেটে কাগজের মতো সাইজ করে নিয়ে তাতে ‘ হোম – টাস্ক ‘ করতেন । ‘ খাগের কলম দেখা যায় একমাত্র সরস্বতী পুজোর
সময়’- কেন এমন বলা হয়েছে ?
Ans: এখনকার স্কুলের ছেলেমেয়েরা কলমে লেখে । শহর কিংবা গ্রাম কোথাও আর বাঁশের কঞ্চির কলমের কোনো ব্যবহার নেই । তাই সরস্বতী পুজোর সময়েই একমাত্র খাগের কলম দেখা যায় ।
ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক কে ?
Ans: ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক হলেন লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান । ‘ নামটা রবীন্দ্রনাথের দেওয়াও হতে পারে
রবীন্দ্রনাথের দেওয়া নামটি কী ?
Ans: রবীন্দ্রনাথের দেওয়া ফাউন্টেন পেনের নামটি হল ঝরনা কলম ।
দুজন সাহিত্যিকের নাম করো যাঁদের নেশা ছিল ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করা ।
Ans: শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হলেন সেই দুজন সাহিত্যিক , যাঁদের নেশা ছিল ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করা ।
লেখক ছোটোবেলায় কেমন করে কলম তৈরি করতেন ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধ অনুসারে লেখকেরা রোগা বাঁশের কঞ্চি কেটে কলম তৈরি করতেন । আর কলম শুধু ছুঁচোলো হত না , তার মুখটাও চিরে দিতে হত ।
‘ দার্শনিক তাকেই বলি’— কাকে প্রাবন্ধিক দার্শনিক বলেন ?
Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক ; যিনি কানে কলম খুঁজে রেখে তা সারাদুনিয়ায় কলম খুঁজে বেড়ান , তাকেই দার্শনিক আখ্যা দিয়েছেন ।
… দু’একটা পাশ দিতে পারলেই বুড়ো বুড়িরা আশীর্বাদ করতেন— কী বলে আশীর্বাদ করতেন ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনা অনুসারে দু – একটা পাস দিতে পারলেই বুড়োবুড়িরা আশীর্বাদ করে বলতেন , বেঁচে থাকো বাছা তোমার সোনার দোয়াত – কলম হোক ।
‘ আমি যেখানে কাজ করি— লেখক কোথায় কাজ করতেন ?
Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনার লেখক একটি লেখালেখির অফিস তথা সংবাদপত্রের অফিসে সাংবাদিকতার কাজ করতেন ।
‘ ভাবি , আচ্ছা , আমি যদি যিশু খ্রিস্টের আগে জন্মাতাম তাহলে কী হত বলে লেখক মনে করেন ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে লেখক মনে করেন তিনি জিশু খ্রিস্টের আগে জন্মালে হয়তো নলখাগড়া ভেঙে ভোঁতা করে তুলি বানিয়ে কিংবা বন থেকে হাড় কুড়িয়ে কলম তৈরি করে , মিশরীয় বা ফিনিসীয়দের মতো লিখতেন ।
‘ মোগল দরবারে একদিন তাদের কত না খাতির , কত না সম্মান এখানে তাঁদের বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধ অনুসারে , এখানে ‘ তাঁদের ’ বলতে ‘ ক্যালিগ্রাফিস্ট ‘ বা লিপিকুশলী ওস্তাদ কলমবাজদের কথা বলা হয়েছে ।
‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থের আসল নাম কী ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ’ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপাস্থের আসল নাম নিখিল সরকার ।
লেখে তিনজন ? – এই তিন জন কে কে ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে বর্ণিত বাংলা প্রবাদ অনুযায়ী এই তিন জন হল- কালি , কলম আর মন ।
‘ এই দেখো । নিব ঠিক আছে । কোন্ ঘটনায় বক্তা এরুপ বলেছিলেন ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ’ রচনা অনুসারে এক দোকানি লেখককে একটি জাপানি পাইলট কলম দেখিয়ে আচমকা খাপ সরিয়ে সেটি ছুড়ে দিয়েছিলেন টেবিলের এক পাশে দাঁড় করানো একটি কাঠের বোর্ডের ওপর । তারপর অক্ষত কলমটি বোর্ড থেকে খুলে নিয়ে তিনি আলোচ্য মন্তব্যটি করেছিলেন ।
কোন্ প্রধান কবি বা লেখক টাইপরাইটারে লিখতেন ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনা অনুসারে লেখক অন্নদাশঙ্কর রায় টাইপরাইটারে লিখতেন ।
‘ কঙ্কাবতী ‘ এবং ‘ ডমরুধর ’ উপন্যাস দুটির লেখক কে বা কারা ?
Ans: ‘ কঙ্কাবতী ‘ এবং ‘ ডমরুধর ‘ উপন্যাস দুটিরই লেখক হলেন ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় ।
‘ ওর কাছে ক ’ অক্ষর গোমাংস –’ক ‘ অক্ষর গোমাংস কথার অর্থ কী ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধ অনুসারে ‘ ক’অক্ষর গোমাংস ‘ বলতে অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষকে বোঝানো হয় । যার অর্থ গোরুকে অক্ষর খাওয়ালে পাপ কিংবা অমঙ্গল হয় ।
লেখক যেখানে কাজ করেন সেটা কীসের অফিস ?
Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ যেখানে কাজ করেন , সেটা লেখালেখির অফিস ।
‘ কিন্তু আমি ছাড়া কারও হাতে কলম নেই / –কেন ?
Ans: লেখক শ্রীপান্থ কাজ করতেন একটি সংবাদপত্র অফিসে । সেখানে একমাত্র তিনিই কলমে লিখতেন , বাকি সকলেই লিখতেন কম্পিউটারে । তাই কারও হাতে কলম থাকত না ।
লেখকরা মাঝে মাঝে লেখা থামিয়ে পর্দার দিকে তাকাচ্ছেন কেন ?
Ans: লেখকরা ইতিমধ্যে যা লিখেছেন , তা পর্দায় ফুটে উঠেছে । সেগুলি পড়ার জন্যই তারা মাঝে মাঝে পর্দার দিকে তাকাচ্ছেন ।
কারা , কীভাবে লেখকের লেখাকে ছাপার জন্য তৈরি করে দেন ?
Ans: লেখকের সহকর্মীরা তাঁকে ভালোবেসে তাঁর লেখা কম্পিউটারে টাইপ করে ছাপার জন্য তৈরি করে দেন ।


